দেবযানী গ্রেফতার বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন সলমন খুরশিদ, গ্রেফতার আইন মেনেই দাবি মার্কিন অ্যাটর

দেবযানী গ্রেফতার বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন সলমন খুরশিদ, গ্রেফতার আইন মেনেই দাবি মার্কিন অ্যাটর্নি প্রীত ভারারার

দেবযানী গ্রেফতার বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন সলমন খুরশিদ, গ্রেফতার আইন মেনেই দাবি মার্কিন অ্যাটর্নি প্রীত ভারারার একদিকে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের হেনস্থার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননকে ফোন জানালেন, দেবযানীর ঘটনায় ভারত মার্কিন সম্পর্কে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না। অন্যদিকে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিষয়ে উল্টোপথে হাঁটলেন মার্কিনি অ্যাটর্নি প্রীত ভারারা। নিজের কৃতকর্মের যথার্থতা নিয়ে গলা তুললেন এবার। জানালেন, মার্কিনি আইন মেনেই দেবযানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভারতীয় কূটনীতিককে হাতকড়া পড়ানোর কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। অনান্য বন্দীদের তুলনায় দেবযানীকে অনেক বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রীত জানিয়েছেন দেবযানীকে গ্রেফতারির পর কফি দেওয়া হয়েছিল, দেওয়া হয়েছিল ফোন করার অনুমতিও। দেবযানীকে নগ্ন করে তল্লাশি করার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন একজন মহিলা মার্শালই সেই কাজে নিযুক্ত ছিলেন। নিজের কাজের সমর্থনে প্রীত জানিয়েছেন ``গরীব, বড়লোক, প্রভাবশালী, আমেরিকান বা আমেরিকান নন, এরকম সবার ক্ষেত্রেই আইন একই রকম।`` গতকাল দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন বিদেশমন্ত্রী। এই প্রীত ভাররার নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানীকে। এ সবের মধ্যেই বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ অভিযোগ করেছেন, নিউইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবড়াগেড়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাঁকে হেনস্থার ঘটনায় দিল্লির প্রতিক্রিয়া মাত্রাতিরিক্ত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জন কেরির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্কে গত সপ্তাহে ভিসা কাণ্ডে দেবযানী খোবরাগাড়েকে তাঁর ছেলেদের সামনেই হাতকড়া পড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়। নগ্ন করে তল্লাসি নেওয়া হয় তাঁর। তারপর ড্রাগ আসক্তদের সঙ্গে জেলের একই কুঠুরিতে আটকে রাখা হয় তাঁকে।

প্রীত ভারারা তাঁর লম্বা বিবৃতিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ এনেছেন অর্ধসত্য প্রকাশের।

গতকাল, নিউইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবড়াগেড়ের হেনস্থা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এমনই মন্তব্য করেছেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মেরি হার্ফ।

ভারতীয় কূটনীতিকের হেনস্থার ঘটনায় দিল্লি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছে। কিন্তু, ওয়াশিংটন যে বিষয়টিকে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ, তা মেরি হার্ফের মন্তব্যেই স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

দেবযানী খোবড়াগাড়ে জানিয়েছেন, মার্কিন পুলিসের হেফাজতে তাঁকে নগ্ন করে তল্লাসি করা হয়েছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিরোধী। এ প্রসঙ্গে, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

একইসঙ্গে, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকদের যথাযথ নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

First Published: Thursday, December 19, 2013, 11:50


comments powered by Disqus