Last Updated: May 19, 2013 18:27

স্রেফ বন্ধুত্বের খাতিরেই কি জিজু জনার্দনের বিছিয়ে দেওয়া জালে ধরা দিলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ নাকি অন্য কিছু! তদন্তে বেরিয়ে আসছে অন্য তথ্য! যা দেখে মাথা ঘুরে গিয়েছে খোদ তদন্তকারী অফিসারদের!!!
শ্রীসন্থের সঙ্গে জনৈক মহিলার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি তুলে তা এমএমএস করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বন্ধু জিজু। সূত্রের খবর,বন্ধুর এই ব্ল্যাকমেলিংয়ে নাকি ভয় পেয়েই স্পটফিক্সিংয়ের দিকে ঝুঁকতে শুরু করা শ্রীসন্থের।
কি ছিল জিজুর গেমপ্ল্যান- ব্ল্যাকমেলিং শ্রীসন্থ?
১) দুবাই থেকে ফোন আসে বুকি চন্দ্রেশ প্যাটেলের কাছে। চন্দ্রেশের মাথা থেকে আসে শ্রীসন্থকে ফাঁসানোর ছক। প্রথমে দেখে নেওয়া হয় শ্রীসন্থের দুর্বলতা ঠিক কোথায়।
২) স্পটফিক্সিংয়ের জাল বেছাতে চন্দ্রেশ প্যাটেলের পরের ফোন যায় জিজু জনার্দনের কাছে।
৩) জিজুকে চন্দ্রেশের পরামর্শ, শ্রীসন্থকে দেওয়া হোক টোপ। বন্দোবস্ত করা হোক মহিলা। চন্দ্রেশ জিজুকে জানান, মহিলা বন্দোবস্ত করার জন্য তাঁকে দেওয়া হবে দশ লক্ষ টাকা।
এরপরই প্ল্যানমাফিক শুরু জিজু জনার্দনের গেমপ্ল্যান ব্ল্যাকমেলিং শ্রীসন্থ।
মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেল। সূর্য ডুবতেই বানিজ্যনগরী যখন প্রমোদ নগরী হয়ে উঠছে,ঠিক তখনই শ্রীসন্থের ঘরে প্রবেশ করেন একজন এসকর্ট।
শুরু হল ব্ল্যাকমেলিং শ্রীসন্থ গেমপ্ল্যানের প্রথম পর্ব-ফ্রেন্ডশীপ।।। শ্রীসন্থের সঙ্গে কিছু মধুর বাক্যালাপের পর ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করলেন সেই সুন্দরী মহিলা।
এরপরই নাকি শ্রীসন্থের বিভিন্ন আপত্তিকর দৃশ্যের ছবি তুলে তা এমএমএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোয় কেরালার পেসারকে স্পটফিক্সিংয়ে রাজি করাতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।
বুকি চন্দ্রেশ প্যাটেল তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন-
গত ১ বছরে চান্ডিলা ও শ্রীসন্থের কাছে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় বার পাঠানো হয় এসকর্টে।
First Published: Sunday, May 19, 2013, 18:39