Last Updated: April 22, 2012 09:33

প্রশাসনিক কড়াকড়ি এবং বন্ধ-এর জেরে নাগরাকাটায় জনসভা করতে পারল না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং জন বার্লা গোষ্ঠী। রবিবার সকাল থেকেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে সভাস্থল। বিমল গুরুং, রোশন গিরির মতো মোর্চা নেতারা জয়গাতেই রয়েছেন। তাঁদের কেউই সভাস্থলে যাননি।
তরাই-ডুয়ার্সের মৌজা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে যৌথভাবে জনসভার ডাক দিয়েছিল মোর্চা এবং জন বার্লা গোষ্ঠীর জয়েন্ট অ্যাকশন কোঅর্ডিনেশন কমিটি। অশান্তি এড়াতে সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। জয়েন্ট অ্যাকশন কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভা বানচাল করতে সকাল থেকেই ডুয়ার্স জুড়ে বনধ পালন করছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সহ ২৬টি সংগঠনের যৌথমঞ্চ। সকাল থেকেই রাস্তাঘাট শুনশান। যানবাহন প্রায় নেই বললেই চলে। দোকানপাট বন্ধ। কোনও রকম অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
অন্যদিকে, জিটিএ-তে তরাই-ডুয়ার্সের মৌজা অন্তর্ভূক্তি ইস্যুতে সরাসরি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কার্যত সংঘাতের পথই বেছে নিয়েছে মোর্চা। নাগরাকাটায় সভা করতে না দিলে মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে পাহাড়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে শনিবারই হুমকি দেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। মোর্চা সভাপতি অভিযোগ করেন, মোর্চার সঙ্গে ছলনা করছে রাজ্য সরকার। এরকম চলতে থাকলে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে পাহাড়ে উঠতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে পাহাড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে।
গোলমালের আশঙ্কায় শনিবারই মোর্চা ও জন বার্লা গোষ্ঠীকে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। নাগরাকাটায় মঞ্চও বাঁধতে গেলেও বাধা দেয় পুলিস। এরপরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ডুয়ার্স বন্ধ-এর কর্মসূচি ঘোষণা করেন জন বার্লা। বন্ধ`কে সমর্থনের কথা জানান রোশন গিরিও। অন্যদিকে, জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা সর্বশক্তি দিয়ে অনির্দিষ্টকালের বনধ প্রতিহত করবে। পর্যটনের ভরা মরসুমে এই বন্ধ ও পাল্টা বন্ধ-এ আশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এতে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। উদ্বিঘ্ন ডুয়ার্সের সাধারণ মানুষও।
First Published: Sunday, April 22, 2012, 12:23