Last Updated: November 17, 2012 19:43
ইস্টবেঙ্গল (৩) চার্চিল ব্রাদার্স (০)এই ম্যাচটা ছিল পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠার, দুই কোচের মর্যাদার আর একটু বেশি করে ভাবলে গোয়া বনাম বাংলার। এই এত বড় সব মর্যাদার লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করেন চিড্ডি। অপর গোলটি করেন মননদীপ সিং।গো য়ায় চার্চিল ব্রাদার্সকে ৩-০ হারাল মরগ্যান ব্রিগেড। সুভাষ ভৌমিকের দলের বিরুদ্ধে মরগ্যান বাহিনী একসঙ্গে অনেকগুলো জয় পেল। প্রথম জয়-- আই লিগে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে আসা (ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট এখন ৬ ম্যাচে ১৪)। দ্বিতীয় জয়--সুভাষ ভৌমিককে হারানো। তৃতীয় জয়-- আই লিগে গোয়ার মাটিতে চার্চিল ব্রাদার্সকে হারাতে পারে না ইস্টবেঙ্গল সেই মিথ ভাঙা।আর চতুর্থ জয়টা একান্তই ব্যক্তিগত। যা পেলেন জোড়া গোলের নায়ক চিডি। রন্টি-ওডাফা দ্বৈরথের মাঝে তিনি যে হারিয়ে যাননি তা আরও একবার প্রমাণ করলেন চিডি। এই এতগুলো জয় এল চিডির গোলক্ষুধা, দলগত প্রচেষ্টা আর কোচের চাতুর্যে।
ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালের পর এবার ঘরের মাঠে বধ চার্চিল। চিড্ডি-পেনদের দৌড় সমস্ত হিসেবনিকেশ বদলে দিল সুভাষ ভৌমিকের স্ট্র্যাটেজির। তাঁর দলের বিরুদ্ধে মেহতাব হোসেনকে ছাড়াই পুরো তিন পয়েন্ট পেল মরগ্যানের লাল হলুদ ব্রিগেড। মাত্র ছয় মিনিটেই চিডির গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মেহতাব নেই, তবুও গোয়ায় কঠিন অ্যাওয়ে ম্যাচে মরগ্যানের মাঝমাঠ ছিল ছন্দে। দ্বিতীয়ার্ধে পেনের পাস থেকে জোরালো শটে দুরন্ত গোল করেন মননদীপ।এই আইলিগে এখনও পর্যন্ত অন্যতম সেরা গোল মননদীপের গোলটি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ডিফেন্স ও গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় গোলটি করে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আরও ব্যবধান বাড়ান সেই চিড্ডিই।এই ম্যাচ জয়ের ফলে ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে লিগ শীর্ষে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল।
First Published: Saturday, November 17, 2012, 21:14