Last Updated: May 25, 2013 21:04

নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মাঝেই পর্যবেক্ষকদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে মনোময়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পর্যবেক্ষকদের জেলায় জেলায় পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রতিটি বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে কিনা, সে দিকে পর্যবেক্ষকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এবছর পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি মানেনি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বুথে বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে কমিশনের টানাপোড়েন এখনও মেটেনি। তারমধ্যেই পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করল কমিশন। শনিবার প্রথম দফায় ১৫৯ জন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে।
সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য কমিশন মরিয়া, তার প্রমাণ পর্যবেক্ষকদের দেওয়া নির্দেশে।
এবারই প্রথম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হওয়ার আগেই দায়িত্বপ্রাপ্ত জায়গায় পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে পর্যবেক্ষকদের।
আদালতের রায় মেনে প্রতি বুথে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে কিনা পর্যবেক্ষকদের সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে
প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের কাছে মোবাইল ফোন থাকবে। সেই নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে এলাকার বাসিন্দাদেরও
বৈঠকে বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁদের নির্ভয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার
পর্যবেক্ষকদের যে কোনও সমস্যায় সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
কোনও বুথে ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল কোনও অভিযোগ তুললে, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে তা কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে
বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, পর্যবেক্ষকরা কমিশনের চোখ ও কান।
এদিকে বন দফতরের পঁচিশ জন আধিকারিকের নাম পর্যবেক্ষক তালিকায় রেখেছে সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কোনও আধিকারিক, গাড়ি বা পরিকাঠামো ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ওই নির্দেশিকার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে বন দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল এস বি মণ্ডল।
First Published: Saturday, May 25, 2013, 21:04