কমিশনের নির্দেশ মেনে অবশেষে `অবগুণ্ঠিত` বহেনজি

কমিশনের নির্দেশ মেনে অবশেষে `অবগুণ্ঠিত` বহেনজি

কমিশনের নির্দেশ মেনে অবশেষে `অবগুণ্ঠিত` বহেনজিশেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কড়া ফরমানে `বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার` দুরূহ কাজে হাত দিল উত্তরপ্রদেশের আমলাতন্ত্র। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানী লখনউ-এর অম্বেডকর পার্ক এবং নয়ডার রাষ্ট্রীয় দলিত প্রেরণাস্থলে শুধু হল মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর মূর্তিকে `পর্দানশিন` করার কাজ। কাপড়ে ঢাকা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন বহুজন সমাজ পার্টির নিবার্চনী প্রতীক হাতির মূর্তিও।

পাঁচ বছরের রাজত্বে সরকারি কোষাগারের বহু কোটি টাকা ব্যয় করে লখনউ-এ অম্বেডকর পার্ক এবং নয়ডায় রাষ্ট্রীয় দলিত প্রেরণাস্থল গড়েন বহেনজি। বি আর অম্বেডকর, কাঁসিরামের পাশাপাশি এই দুই উদ্যানে নিজের এবং বিএসপি`র নির্বাচনী প্রতীক হাতির মূর্তিও বসান মায়াবতী। রাজ্যের আরও বেশ কিছু জায়গাতেও একই কায়দায় সরকারি অর্থে ব্যক্তিগত মূর্তি ও দলীয় প্রতীক নির্মাণ কর্মসূচি নেন বিএসপি সুপ্রিমো। কমিশনের নির্দেশ মেনে অবশেষে `অবগুণ্ঠিত` বহেনজি
গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের তরফে বিধানসভা ভোটপর্বের সমাপ্তি পর্যন্ত মূর্তিগুলি কাপড়ে ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের আমলাতন্ত্রের তরফে মায়াবতীর মূর্তিকে পর্দায় ঢাকার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজ্য প্রশাসনের এই ভূমিকায় গতকাল প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। তিনি জানান, বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী এবং হাতির সমস্ত মূর্তি না ঢাকলে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

কার্যত এর পরই তড়িঘড়ি সক্রিয় হয় রাজ্য প্রশাসন। এদিন সকাল থেকে নয়ডা পার্কে মায়াবতীর ২ ও হাতির ৫২টি মূর্তি ঢাকা শুরু হয়। সেই সঙ্গে রাজধানী লখনউয়ের অম্বেডকর পার্কেও চলে দলিত নেত্রীর ৯ ও তাঁর দলের ২৫টি প্রস্তর প্রতীকে পর্দা ঘেরার কাজ। তবে এখানেও দেখা দিয়েছে এক নতুন বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, মায়াবতীর প্রিয় গোলাপী রঙের কাপড় দিয়ে ঘেরা হচ্ছে তাঁর মূর্তি। আর গোবলয়ের হৃদয়পুরের ভোটারদের `হস্তীদর্শন` ঠেকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে গোলাপী রঙের প্লাস্টিক শিট।

First Published: Tuesday, January 10, 2012, 15:33


comments powered by Disqus