Last Updated: November 14, 2013 19:59

ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচটি হাতির মৃত্যু। জখম আরও একটি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোটা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য রেল তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন আলিপুর ডিএমআরও। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ চালসা জঙ্গলে জলঢাকা রেলব্রিজে একটি হাতির পালকে ধাক্কা মারে কামাখ্যাগামী কবিগুরু এক্সপ্রেস।
মৃত হাতিগুলির দেহ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এলিফ্যান্ট করিডর হওয়া সত্ত্বেও নির্ধারিত গতিবেগের উর্দ্ধে ট্রেনটি চলছিল বলে অভিযোগ বনদফতরের। রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর করেছে বনদফতর।
বন দফতরের অভিযোগ, ব্রিজের ওপর দিয়ে গতকাল ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ট্রেন ছুটে আসায় এই দুর্ঘটনা৷ তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ রেল৷
ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ফের সেই রেল ও বন দফতরের চিরাচরিত চাপানউতোর। রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর দাবি, জঙ্গলে হাতির আনাগোনা নজরদারি করা রাজ্যের বিষয়, রেলের নয়। গতকাল যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা হাতির করিডরের বাইরে বলে দাবি করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী। তবে রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন দুর্ঘটনার জন্য রেলকেই দায়ী করেছেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার শাখায় চালসার কাছে জলঢাকা রেলসেতুতে ওঠার মুখে ডিব্রুগড়গামী কবিগুরু এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হাতির দলের৷ জখম অন্তত দশটি হাতি৷ মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে বনকর্তাদের আশঙ্কা৷ প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরের রাতে বানারহাটের মরাঘাট জঙ্গলের কাছে ঝাঝা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা গিয়েছিল সাতটি হাতি৷
First Published: Thursday, November 14, 2013, 20:03