Last Updated: April 18, 2014 19:23

আর কত গভীরে সারদা কেলেঙ্কারির জাল? সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী-পুত্রকে জেরা করে রোজই সামনে আসছে নতুন তথ্য। দুজনের মোবাইলেই মিলেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বর। তাঁদের নোটিসও পাঠানো হতে পারে। যদিও, প্রকাশ্যে কোনও তথ্যই স্বীকার করছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাজার থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা তুলেছিল সারদা গোষ্ঠী। কিন্তু, হিসেব মিলছে মাত্র একশো চল্লিশ কোটি টাকার। কোথায় গেল বাকি টাকা? উধাও টাকার হদিশ পেতেই বারবার জেরা করা হচ্ছে সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও প্রথম পক্ষের ছেলেকে।
বিশেষ সূত্রে খবর, সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী ও পুত্র লেনদেন করেছে এমন দুশোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা-
বিধাননগরের একটি ব্যাঙ্কে সুদীপ্ত সেনের স্ত্রীর লকার থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর টাকা, সোনা এবং নথি
সুদীপ্ত সেনের ছেলের নামে যশোর রোডে তিনটি বার ও দক্ষিণ কলকাতায় একটি বিউটি পার্লার রয়েছে
সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী ও পুত্রের মোবাইলের কল লিস্টে মিলেছে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বর
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন নেতামন্ত্রী ও শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নোটিস পাঠানো হতে পারে। তদন্তে জানা গেছে, শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই চিঠির খসড়া লিখেছিলেন এক নামজাদা আইনজীবী। বড় নেতাদের আড়াল করতেই চিঠিতে চুনোপুটিদের নাম লেখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই নেতাই সুদীপ্ত সেনকে জামিন দেওয়ানোরও চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর।
ভোটের মুখে ফের সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফেও সমস্ত খবরই অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে, অর্থমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন গোয়েন্দা সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসও, সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করবে বলে সূত্রের খবর।
First Published: Friday, April 18, 2014, 19:24