গান্ধীজীর `জাতির জনক` উপাধি অসাংবিধানিক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

গান্ধীজীর `জাতির জনক` উপাধি অসাংবিধানিক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

গান্ধীজীর `জাতির জনক` উপাধি অসাংবিধানিক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকমহাত্মা গান্ধী মোটেও ভারতের `জাতির জনক` নন! ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনদিনই তাঁকে এই উপাধি দেওয়াও হয়নি! এতদিনকার পুরনো বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল একটা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে! এরকমই জানা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে। প্রকৃতপক্ষে, এ দেশের সংবিধানের ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা আর শিক্ষা ক্ষেত্র ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থাকে সরকার কোনও উপাধি দিতে পারেনা। অতএব সরকারি ভাবে মোহনচাঁদ করমদাস গান্ধীর `জাতির জনক` হওয়াতেও সম্মতি জানায় না সংবিধান।

লখনউর স্কুল ছাত্রী ঐশ্বর্য পরাশর কেন গান্ধীজীকে জাতির জনক বলা হয় তা জানতে চেয়ে বেশ কিছুদিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে একটি পিটিশন দেয়। তার সেই আরটিআই-এর জবাবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গান্ধীজীকে মোটেও `জাতির জনক` বলা যায় না।

ঐশ্বর্য প্রাথমিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে বাপুজিকে `জাতির জনক` বলার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি লেখে। কিন্তু সময় মতো জবাব না পেয়ে আরটিআই দায়ের করে সে। জানতে চায়, কেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি দফতর থেকে তার আবেদনে সাড়া মিলল না। এর পর লখনউ-এর এই কিশোরীর আবেদনের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ঐশ্বর্যর প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মোটেও গান্ধীজীকে সরকারি স্তরে জাতির জনক বলা হয় না।






First Published: Friday, October 26, 2012, 15:37


comments powered by Disqus