Last Updated: April 15, 2012 09:15

বছরের শুরুতেই ফের শহরে ভয়াবহ আগুন। এবার অগ্নিকাণ্ড ১০ নম্বর প্রিন্সেপ স্ট্রিটের বহুতলের ৩ তলায়। শনিবার রাত ৯টা ১৫ নাগাদ প্রিন্সেপ স্ট্রিটের একটি বহুতলের ৩ তলায় আগুনের শিখা দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই ৩ তলার গোটা চত্বরকেই গ্রাস করে আগুন। পরে জানা যায় ৩ তলায় থাকা একটি সংবাদমাধ্যমের অফিস পুরোটাই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগ, দ্রুত খবর দেওয়া হলেও, দমকল দেরিতে পৌঁছয়। আগুনের ভয়াবহতা দমকল বাহিনী বুঝতে পারেনি বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দমকল অফিস হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ দমকলের তত্পরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বাসিন্দারা বলছেন, আগুন লাগার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে জানলার কাঠ ও গ্রিল কাটা হয়েছে। এমনকী সিঁড়ি যথেষ্ট চওড়া এবং কংক্রিটের হওয়া সত্ত্বেও দমকলকর্মীরা একবারও ওঠার চেষ্টা করেননি বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও দমকলের দেরিতে পৌঁছনোর কথা অস্বীকার করেছেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।

এখানেই শেষ নয়, দমকলের ইঞ্জিন সংখ্যা নিয়েও দমকলমন্ত্রী ও দমকলের ডিজির বক্তব্যে ধরা পড়ল বিস্তর অসঙ্গতি। দমকল মন্ত্রী বলেন, ঘটনাস্থলে কাজ করছে ৯টি ইঞ্জিন। দমকলের ডিজি দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়ার বক্তব্য, ২০টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে এনেছে । তাই ঠিক ক`টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে এনেছে, তা স্পষ্ট নয়। আগুন আয়ত্তে আনতে তলব করা হয় কলকাতা পুলিসের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকেও। ভেতরে প্রচণ্ড ধোঁয়া থাকায় মুখে অক্সিজেন মাস্ক নিয়েও কাজ করতে অসুবিধায় পড়েন দমকলকর্মীরা। রাস্তা সরু এবং ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয় দমকলকে। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী।
First Published: Sunday, April 15, 2012, 09:15