Last Updated: November 2, 2012 22:43

টেলিফোনের তার চুরি যাওয়ায় ১৮ ঘণ্টা নজিরবিহীন বিপর্যয়ের মুখে পড়ল দমকল। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে দমকলের সদর দফতরে দিনভর কাজ করল না কোনও টেলিফোন। ফোন খারাপ থাকায় সময়মতো খবর না পেয়ে মল্লিকবাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দমকলকর্মীরা। ফোনের তার কাটা যাওয়ার পিছনে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। রাত নটার পর স্বাভাবিক হয় দমকলের হটলাইন একশো এক।
শুক্রবার সকাল থেকে দশ ঘণ্টারও বেশি সময় নজিরবিহীন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল দমকলের সদর দফতর। স্তব্ধ হয়ে রইল ওয়ান জিরো ওয়ান হটলাইনও। লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল বিচ্ছিন্ন। এদিন, সকাল সাড়ে ১১ নাগাদ মল্লিকবাজারের লোহাপট্টিতে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগে। ফোন খারাপ থাকায় আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল।
দমকল পৌঁছনোর আগেই তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টেলিফোনের তার কাটা যাওয়ায় ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিএসএনএলের টেলিফোন পরিষেবা। দমকলের সদর দফতরে ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজে হাত লাগান বিএসএনএল কর্মীরা। শুধু বিএসএনএল কর্মীরাই নন, ফোনের তার কাটা যাওয়াকে নিছক চুরির ঘটনা হিসাবে মানতে নারাজ দমকলকর্মীদের একাংশও। দমকলের নতুন ডিরেক্টর দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই ঘটনায় অন্তর্ঘাতের ছায়া দেখছেন তাঁরা।
First Published: Friday, November 2, 2012, 22:43