Last Updated: February 16, 2013 13:15

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর এবার ফিরহাদ হাকিমের ক্ষমতা খর্ব করল তৃণমূল কংগ্রেস। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমদের প্রতিনিধিদের সামনে ফিরহাদ হাকিমের মুখ খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
একইসঙ্গে দলের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন নলহাটি উপনির্বাচনে দলের তরফে দায়িত্ব হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তাঁর ভূমিকায় ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন পুর ও নরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপালও। তার পরই চাপে পড়ে দলের মুখপাত্র পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কলকাতায় তাঁর কর্মসূচির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মুন্না বিতর্কের সঙ্গেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নতুন বিতর্কের মুখে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুলিস খুনের ঘটনায় হাসান নাকভি ওরফে সানু নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছে পুলিস। এই সানুকে গণ্ডগোলের দিনে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের পাশেই। সানু আবার হজ কমিটির সদস্যও। ফিরহাদ হাকিমের সুপারিশেই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
গণ্ডগোলের দিন সকাল থেকেই হরিমোহন ঘোষ কলেজ চত্বরে হাজির ছিল সানু। ক্যামেরার ফুটেজে মুন্না ওরফে ইকবালের পাশে তাকে একাধিকবার দেখা যায়। মুন্নার মত সানুও হামলায় প্ররোচনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এসআই তাপস চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জনতার ভিড়ে সানুর পালিয়ে যাওয়ার ছবিও ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। পরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে এলে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সানুকে মন্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
সূত্রের খবর, দুহাজার এগারোর জুলাইয়ে এই হাসান নাকভি ওরফে সানুকে হজ কমিটিতে জায়গা করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। সানু, গার্ডেনরিচ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিত মুখ। পুরমন্ত্রীর পাশাপাশি মুন্নারও ঘনিষ্ঠ সহযোগী সানু। মুন্নার মতো বুধবার সন্ধে থেকে সানুও গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তার সবকটি মোবাইল ফোন সুইচড অফ।
First Published: Saturday, February 16, 2013, 15:43