Last Updated: December 16, 2012 11:27

তৃতীয় দিনে পড়ল সুন্দরবনের মত্স্যজীবীদের আন্দোলন। বনের অধিকার ফিরে পেতে শুক্রবার থেকে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁরা। সুন্দরবন অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বনাধিকার আইন কার্যকর করার দাবিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরে সাতদিন ধরে প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছেন মত্স্যজীবীরা। আন্দোলনের নাম দিয়েছেন মত্স্যজীবী অধিকার যাত্রা।
অরণ্যের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলনকেই হাতিয়ার করলেন সুন্দরবনের জঙ্গল নির্ভর মানুষরা। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে এই আন্দোলন। ক্যানিং এর ডকঘাট থেকে মাতলা নদীতে পাড়ি দিয়েছেন স্থানীয় মত্স্যজীবীরা। ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা প্রভৃতী থানা ঘুরে নদীপথেই নিজেদের প্রচারাভিযান চালাবেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, মাতলা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়ে বনসৃজন করেছিল বনদফতর। এরপর স্থানীয় মত্স্যজীবীদের ওই এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করে দেয় বন দফতর। ফলে সমস্যার মুখে মত্স্যজীবীরা। টান পড়েছে রুজিরুটিতে। সেই কারণেই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
২০০৬ সালে তফশিলি জনজাতি ও অন্যান্য পরম্পরাগত বনবাসীদের বনাধিকার স্বীকৃতি আইন করে কেন্দ্র। এরাজ্যের ১১টি জেলা তার আওতায় এলেও বাদ প়ড়ে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অথচ এই দুই জেলা জুড়েই রয়েছে সুন্দরবন। কয়েক লাখ বাসিন্দা দিন গুজরান করেন সুন্দরবনের অরণ্যের উপর নির্ভর করেই।
বনাধিকার আইন কার্যকর করা নিয়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ মোট ১১টি জেলায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ২ হাজার ৮১৯টি বনাধিকার কমিটি। বন দফতরের নিষেধকে অগ্রাহ্য করে সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরছিলেন সুন্দরবনের মত্স্যজীবীদের একাংশ। মত্স্যজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছ`টি বোট ও জাল সমেত বেশ কয়েকজনকে আটক করেন বনকর্মীরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার স্থানীয় চিতুরি গ্রামের বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে হামলা চালান কুলতলি বিট অফিসে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। শুধুমাত্র সুন্দরবনের নদী এবং খাঁড়িতে মাছ ধরাই নয় আন্দোলনকারীদের দাবি সুন্দরবন রক্ষা করার অনুমতিও দেওয়া হোক তাঁদের।
First Published: Sunday, December 16, 2012, 11:27