৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে বর্ষা দিল্লিতে, জলমগ্ন বিমানবন্দরও

৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে বর্ষা দিল্লিতে, জলমগ্ন বিমানবন্দরও

৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে বর্ষা দিল্লিতে, জলমগ্ন বিমানবন্দরও৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগেই বর্ষা এলো রাজধানীতেও। রবিবার থেকেই মুষল ধারার বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা। জলমগ্ন ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। অন্যদিকে, উত্তরাখন্ডের কেদারনাথের রামবাড়ায় মেঘ ফেটে বৃষ্টির ফলে তীর্থযাত্রী সহ নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন। বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। ধস নেমে বিভিন্ন জায়গায় আটকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে বহু বাঙালি পর্যটকও রয়েছেন।

হাতনি-কুন্ড ব্যারেজ থেকে আট লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি  করা হয়েছে নদী সংলগ্ন কারনাল, পানিপথ এবং সোনিপথে। সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহযোগিতায় হরিয়ানার লাপরা গ্রামে আটকে পড়া বাহান্নজন গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে জল ছবি  বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও।  বৃষ্টিতে জল জমে থাকায় এখনও বিপর্যস্ত মুম্বইয়ের সাবারবান রেল ও ওয়েস্টার্ন রেল পরিষেবা। পুনেতে দেওয়াল ধসে  তিন মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
 
ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাইয়ে একশ এক শতাংশ বৃষ্টি হবে গোটা দেশে। অগাস্টে তা কমে হবে ছিয়ানব্বই শতাংশ। তবে এখনই বৃষ্টি থামার কোনও পূর্বাভাস শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।  

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনজীবন। জলমগ্ন উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, মুম্বইয়ের বহু এলাকা। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা-যমুনা সমেত একাধিক নদী।  গত দুদিনে প্রায় সাতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, উত্তরকাশীতেও।
 
প্রবল স্রোতে ধুয়েমুছে গেছে বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ- সবই। খোঁজ মিলছে না কমপক্ষে ষাটজনের। চামোলি ও উত্তরকাশীর বেশ কিছু ব্রিজ পথঘাট ভেঙে পড়েছে। কেদারনাথে প্রায় একশ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধসে আটকে পড়েছেন তিরিশ হাজারের বেশি পর্যটক। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি জেরে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে চারধাম তীর্থ যাত্রা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে অলকানন্দা আর মন্দাকিনী নদী।  

ধস সরানোর কাজে সাহায্য চাওয়া হয়েছে ইন্ডো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিসের কাছ থেকেও। বৃষ্টিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তরফে।
  
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টিলোট, মাণ্ডভ, গঙ্গোত্রী এলাকা। এবছর নির্দিষ্ট সময়ের এক সপ্তাহ আগেই বর্ষা এসেছে। পাশাপাশি বৃষ্টিও হচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে কয়েকগুন বেশি। এর জেরেই তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জানিয়েছে  আবহাওয়া দফতর।  

First Published: Monday, June 17, 2013, 20:15


comments powered by Disqus