Last Updated: January 11, 2014 19:35

ঠিক যেন ইচ্ছামৃত্যু। আট বছর কোমায় থাকার পর প্রয়াত হলেন ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন। মৃত্যুর পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র গিলাড যা বললেন তাতে বলতেই হচ্ছে অ্যারিয়েল শ্যারনের আসলে ইচ্ছামৃত্যু হয়েছে। রাজধানী তেলআবিবের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর তাঁর পুত্র বলেন, বাবার ইচ্ছা হয়েছে, তাই মারা গেলেন। গিলার্ডের কথা শুনে মনে হচ্ছে শ্যারনের মৃত্যু যেন শরসজ্জায় থাকা মহাভারতে ভীষ্মর মৃত্যুর মত ইচ্ছাসাপেক্ষে এল।
গত বুধবার সার্জারির পর থেকে শ্যারনের মারাত্মক কিডনি সমস্যা দেখা দেয়। তেল হাশোমার হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছিলেন, “শ্যারন এখন আসন্ন মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। ”
২০০৬ সালের ৪ জানুয়ারি স্ট্রোক হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অ্যারিয়েল শ্যারনকে। এরপর কোমায় চলে যান তিনি। এতগুলো বছরধরে হাসপাতালের একই বিছানাই তিনি কোমাতেই আচ্ছন্ন ছিলেন।
সরকারি ঘোষণায় ইজরাইলের সামরিক রেডিও জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্যারন শনিবার ৮৫ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন।
শ্যারনের মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিক্রিয়ায় বলে ফাতাহ আন্দোলনের সিনিয়র কর্মকর্তা জিবরিল রাজুব বলেছেন, “শ্যারন ছিল একজন অপরাধী। ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর জন্য সে দায়ী। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাকে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দেখতে চেয়েছিলাম।
ওদিকে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শ্যারনের মৃত্যুকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, ফিলিস্তিনিদের রক্তে রঞ্জিত হাত নিয়ে এক দাগী অপরাধী পৃথিবী থেকে বিদায় হয়েছে।
First Published: Saturday, January 11, 2014, 19:35