Last Updated: February 17, 2013 22:47

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত তিনজনকে নিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালাল সিআইডি। রবিবার রাতে ধৃত তিনজনকে নিয়ে যান সিআইডির গোয়েন্দারা গার্ডেনরিচ ও মেটিয়াবুরুজ এলাকায় তল্লাশি চালান। গার্ডেনরিচ থেকে ২০টি বোমা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। মেটিয়াবুরুজ থেকে উদ্ধার হয় ১৮টি বোমা। উদ্ধার হওয়া পিস্তল থেকেই গুলি কিনা জানতে ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পিস্তলটি পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার নির্দেশেই মঙ্গলবার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। জেরার মুখে তা কবুল করে নেন মূল অভিযুক্ত শেখ সুভান এবং ইবনে সাউদ। এমনটাই দাবি সিআইডির গোয়েন্দাদের।
হরিমোহন ঘোষ কলেজের মনোনয়ন প্রক্রিয়া বানচাল করতেই এই পরিকল্পনা করেছিল মু্ন্না ইকবাল। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে ইবনে এবং সুভানের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেয় মুন্নার ঘনিষ্ঠরাই। পরিকল্পনা ছিল কলেজের মধ্যে ঢুকে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোরও। পরিকল্পনা মাফিক, মঙ্গলবার মোক্তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলে কলেজ গেটে কর্তৃব্যরত পুলিসকর্মীদের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মুন্না।
রবিবার ভবানীভবনে সুভান এবং ইবনেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সিআইডি। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। পুলিস খুনের ঘটনার দিন কার কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করা শুরু করেছে সিআইডি। ব্যান্ড অডিও ফিল্টার নামের এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সে দিন কার কী বক্তব্য ছিল তা বার করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজের মধ্যের অন্যান্য শব্দ ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েক জনের গলার আওয়াজ বোঝা যায় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। ফলে খুনের আগে ও পরে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে, কে কী নির্দেশ দিয়েছিলেন। অর্থাত্ অভিযুক্তদের ভূমিকাও স্পষ্ট হয়ে যাবে এখান থেকেই।
First Published: Monday, February 18, 2013, 10:02