৩০ সেকেন্ডের কারাবাস থেকেও গিলানিকে রেহাই দিল সুপ্রিম কোর্ট

৩০ সেকেন্ডের কারাবাস থেকেও গিলানিকে রেহাই দিল সুপ্রিম কোর্ট

৩০ সেকেন্ডের কারাবাস থেকেও গিলানিকে রেহাই দিল সুপ্রিম কোর্টআদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। যদিও কৃতকর্মের দায়ে তাঁকে জেলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে। এদিন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট আদালত অবমাননায় দায়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ সেকেন্ডের `প্রতীকী কারাদণ্ডে` দণ্ডিত করে। কিন্তু সেই সঙ্গেই বিচারপতি নাসির-উল-মুল্‌ক-এর নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ৭ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আদালতের হাজিরার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সাজার মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আর জেলে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

পারভেজ মুশারফ জমানার বিতর্কিত ন্যাশানাল রিকন্সিলিয়েশান অর্ডিন্যান্স (এনআরও) বাতিল করে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ফের চালু করার জন্য ২০০৯-এর ডিসেম্বর মাসে পাক সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে। কিন্তু জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শুরু না-করায় গিলানিকে আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই নতুন কৌশল নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে তিনি সাফাই দেন, সংবিধানের ২৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। সেই কারণে তিনি মামলা নতুন করে শুরু করতে পারেননি । কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যাখা সন্তুষ্ট করতে পারেনি পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতকে। ১ ফেব্রুয়ারি গিলানির বিরুদ্ধে ওঠা আদালত অবমাননার অভিযোগের সারবত্তা স্বীকার করে নেয় প্রধান বিচারপতি ইফতিকার মহম্মদ চৌধুরির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৭ সদস্যের বেঞ্চ। ১৩ ফেব্রুয়ারি গিলানির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে চার্জ গঠন করে পাক শীর্ষ আদালত।

অতীতে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে জুলফিকার আলি ভুট্টোর মতো নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হলেও এই প্রথম পাকিস্তানের কোনও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন। জেলে যেতে না হলেও পাক সংবিধানের ৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আইনসভার সদস্যপদ খোয়াতে পারেন গিলানি। সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কুরসি হারাতে হবে তাঁকে। তিন মাসের আইনি টানাপোড়েনের পর ৩০ সেকেন্ডের প্রতীকী সাজাও তাই মোটেও খুশি করতে পারেনি ইউসুফ রাজা গিলানিকে। এদিন সাত বিচারপতির বেঞ্চের সংক্ষিপ্ত রায় শুনে আদালতকক্ষের বাইরে বেরিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে ৫৬ বছরের পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি মনে করি এই মামলার রায় যথাযথ নয়"।





First Published: Thursday, April 26, 2012, 15:01


comments powered by Disqus