Last Updated: June 12, 2014 11:33

ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগে কোনওভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। জেলার বেশ কয়েকজন সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে কার্যত এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুকুল রায়। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, সিন্ডিকেটের এই গণ্ডগোলের সঙ্গে তাঁর দলের কোনও নেতা কর্মীরা যুক্ত নন। তবে তাঁর দাবির সঙ্গে বাস্তব চিত্রের অমিল কতটা তা ভালো করেই জানেন দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বামেদের প্রধান দাবি ছিল, ঘরছাড়াদের ফেরানোর দায়িত্ব নিক প্রশাসন। বামেদের দাবি, এখনও কয়েক হাজার ঘরছাড়া ঘরে ফিরতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের চাপে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বুধবার বিধানসভায় অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তপন দাশগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতিকে ডেকে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন মুকুল রায়। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, প্রশাসনিক এই উদ্যোগকে সাহায্য করতে হবে সব জেলার নেতাদের।
কেন এ পথে হাঁটতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দলীয় সূত্রে খবর, তিন বছরের মধ্যেই যেভাবে বহু আসনে তৃণমূলের ভোট কমেছে, তাতে রীতিমতো চিন্তিত দল। এবং ভোট কমার কারণও যে দাদাগিরি তাও চিহ্নিত করেছেন নেতারা। ফলে দাদাগিরি বন্ধ করতে উদ্যোগী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সেই কমিটি তৈরির কাজ শেষ করতে জেলার সভাপতিদের জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে আগামী একুশে জুন বিধানসভাতেই জেলার সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তার আগে বুথভিত্তিক হিসেব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের হিসেবে বিজেপির ভোট বাড়লেও সেটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো জায়গায় এখনও যায়নি। মুকুল রায়ের দাবি, একশ ছত্রিশটি বিধানসভার আসনে তাদের জামানত জব্দ হয়েছে। ফলে বিজেপি ঝড় সব ওলটপালট করে দেবে এমনটা মানতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষনেতা। তবে মুখে যাই বলুন না কেন, বিজেপিকে ধরে তাঁরা যে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন সেই ছবিটা স্পষ্ট।
First Published: Thursday, June 12, 2014, 11:33