Last Updated: July 12, 2012 12:41

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিটিএ দখলে পথে মোর্চা। চাপের মুখে সব প্রার্থী প্রত্যাহার করল সিপিআইএম। জিটিএ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজই ছিল শেষ দিন। বুধবার পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন মোর্চার ২২ জন প্রার্থী। বুধবারই গুরুংদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনে সিপিআইএমের জিটিএ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৮ জন সিপিআইএম প্রার্থী। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব সমাধা হবে বলে জানিয়েছিলেন সিপিআইএমের ভারপ্রাপ্ত দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার।
জিটিএ নির্বাচনে সিপিআইএমের মোট ১৩ জন প্রার্থী ছিলেন। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রশাসন পাহাড়ে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মোর্চার তরফে লাগাতার চাপ হুমকি আসছে। সেই কারণেই প্রার্থীরা তাঁদের পদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। গত শনিবার কার্শিয়াংয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন সিপিআইএম নেতা সুরজ পাঠক। আটকানো হয় তৃণমূল প্রার্থীদেরও। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী রাজেন মুখিয়ার মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলে কার্শিয়াংয়ে মহকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে রেখেছেন মোর্চার কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, বিকেল ৩ টের পর মনোনয়ন জমা দেন রাজেন মুখিয়া।
কার্শিয়াংয়ের পাঙ্খাবাড়ি রোডেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। চারজন তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে শনিবার একজনই মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। এক্ষেত্রেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে। পাহাড়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই বলে আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। এবার তাত্পর্যপূর্ণভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন প্রদেশ সভাপতি। অন্যদিকে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জিটিএ নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের বিধি মানা হচ্ছে না। তার ওপর বর্ষাকালে নির্বাচন হওয়ায়, পাহাড়ের অনেক নাগরিকই এতে অংশ নিতে পারবেন না বলে অভিযোগ গোর্খা লিগের।
First Published: Thursday, July 12, 2012, 17:27