Last Updated: January 6, 2014 21:04

প্রতি মাসে বাড়ছে ডিজেলের দাম। বাড়ছে বাস চালানোর অন্যান্য খরচও। এই অবস্থায় ভাড়া না বাড়লে রাস্তায় বাস নামানো আর সম্ভব নয় বলে দাবি বাস মালিকদের। সাধারণ মানুষের একাংশও মনে করছেন, পরিস্থিতি যা তাতে ভাড়া বাড়ানোর পিছনে যুক্তি রয়েছে। যদিও, বাসভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য সরকার।
বাস-মিনিবাস মিলিয়ে রাজ্যে বেসরকারি বাসের সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার। বাসমালিক সংগঠনের দাবি, লোকসানের বোঝা টানতে না পেরে ৪০ শতাংশ বাস বসে গেছে। যে ৬০ শতাংশ বাস রাস্তায় নামছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তার মধ্যেও সবকটি সবসময় চলছে না। ফলে, দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের।
২০১২-র ১৬ই নভেম্বর শেষবার রাজ্যে বাসভাড়ার পুনর্বিন্যাস হয়েছিল। বাসমালিকদের দাবি, তারপর থেকে খরচ বেড়েছে লাগামছাড়া। যদিও, ভাড়া বাড়ায়নি সরকার।
বাসমালিকদের দাবি, ২০১২-র নভেম্বর থেকে ২০১৪-র তেসরা জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬ বার বেড়েছে ডিজেলের দাম। সবমিলিয়ে ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৮ টাকা।
গত এক বছরে নানা যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
গত এপ্রিল থেকে যাত্রীবিমার হার বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
খুচরোর জন্য দিনে খরচ হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
বাসমালিকদের দাবি, এরসঙ্গে পুলিসি জরিমানা, ব্যাঙ্কের ইএমআই, চালক-কন্ডাক্টরদের বেতন যোগ হয়ে খরচের অঙ্ক যা দাঁড়াচ্ছে তাতে বাস চালিয়ে লাভ তো দূরের কথা, বরং লোকসান হচ্ছে। সরকারকে যে হিসাব তাঁরা দেখিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে,
বাস চালিয়ে ১০০ পয়সা হাতে এলে খরচ হচ্ছে ২৯৮ পয়সা।
রোজই যদি ক্ষতি হয়, তাহলে পথে বাস নামছে কী করে? বাসমালিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, পেট চালাতে গিয়ে তাঁরা প্রতিমাসে ব্যাঙ্কের ইএমআই দিতে পারছেন না। যার ফলে আখেরে বেড়ে চলেছে ঋণের বোঝা। যদিও, লোকসানের কথা মানতে নারাজ পরিবহন মন্ত্রী।
সাধারণ মানুষের একাংশের আপত্তি না থাকলেও বাসভাড়া বাড়াতে রাজি নয় রাজ্য সরকার।
গত এক বছরে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বহুবার পরিবহন মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বাসমালিকরা। দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে। কালীপুজোর পর দাবি বিবেচনার আশ্বাস পেয়ে সেপ্টেম্বরে দুদিনের ধর্মঘট ডেকেও প্রথম দিনই তা তুলে নেন বাসমালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, কালীপুজো পেরিয়ে বছর ঘুরে গেলেও ভাড়া বাড়ানো নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজ্য সরকার। পরিবহণ সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়নি।
First Published: Monday, January 6, 2014, 21:04