Last Updated: November 19, 2013 23:35

আড়ি-কাণ্ডের ঝুলি থেকে বেরোচ্ছে একের পর এক বেড়াল। গুজরাতের প্রথমসারির এক নেতার সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্কের কথা জেনে ফেলাতেই সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গুজরাতের প্রাক্তন আমলা প্রদীপ শর্মা। প্রায় একই অভিযোগ এনেছেন গুজরাতের আরেক পুলিসকর্তা আর বি শ্রীকুমার। মহিলার ওপর লাগাতার নজরদারির অভিযোগে ইতিমধ্যেই চরম অস্বস্তিতে মোদী ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ।
প্রথম বোমাটা ফাটিয়েছিলেন গুজরাতের পুলিসকর্তা এইচ এল সিঙ্ঘল। এবার সেই সূত্র ধরেই মুখ খুলতে শুরু করলেন গুজরাতের প্রাক্তন আরও কয়েকজন আমলা। মহিলার ওপর নজরদারি বিতর্কে ইতিমধ্যেই বেজায় অস্বস্তিতে অমিত শাহ। এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া। বোমা ফাটালেন গুজরাতেরই প্রাক্তন আমলা প্রদীপ শর্মা। গুজরাতের এক শীর্ষ রাজনীতিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। আর সেই কথাটাই জানতে পেরে গিয়েছিলেন প্রদীপ শর্মা। প্রাক্তন আমলার অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে মোদী সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রদীপ শর্মা।
প্রদীপ শর্মা একা নন। প্রায় একই অভিযোগ এনেছেন গুজরাতের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমারও। এক কদম এগিয়ে তাঁর অভিযোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিন বাঘেলা এবং হারিন পান্ডিয়ার ফোনেও আড়ি পাতার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। আর তাতে রাজি না হওয়াতেই তাঁকেও দুর্নীতি মামলায় ফাঁসিয়েছে গুজরাত সরকার।
নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি মুখপাত্র মীনাক্ষী লেকির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন শ্রীকুমার। অস্বস্তি থেকে বাঁচতে যে চার অফিসার মুখ খুলতে শুরু করেছেন, তাদের ট্র্যাক রেকর্ড নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
শুধু ওই মহিলাই না। প্রাক্তন পুলিসকর্তা আর বি শ্রীকুমারের অভিযোগ, গুজরাতের বহু মন্ত্রী আমলাই ট্যাপিংয়ের ভয়ে পারতপক্ষে ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেন না। এই সব বিস্ফোরক অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়ে কী শুধুই কংগ্রেসকে তোপ দেগেই মুখ বাঁচাতে পারবে বিজেপি?
First Published: Tuesday, November 19, 2013, 23:35