Last Updated: April 7, 2014 19:55

পাড়ুইকাণ্ডে ফের রাজ্যকে তোপ হাইকোর্টের। তৃণমূল কর্মী সাগর ঘোষ খুনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। তাঁর মন্তব্য, কোনও রাজনৈতিক নেতাই আইনের উর্দ্ধে নন। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছে আদালত। তারপরই এনিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হৃদয় ঘোষ। হৃদয় ঘোষ নির্দল প্রার্থী হওয়ার পরই বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর বাবা সাগর ঘোষকে খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ একচল্লিশজন তৃণমূল নেতা-কর্মীর। সিআইডি তদন্তে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিসের ডিজির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, সিটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। সিটের তদন্ত রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। দোসরা এপ্রিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানতে চান পাড়ুই কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে কীনা। সোমবার নজিরবিহীনভাবে কোর্টরুমেই অনুব্রতের বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজ দেখেন বিচারপতি। সিডি দেখার পর প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। বিচারপতি বলেন...``অনুব্রত মণ্ডল প্রকাশ্যে বলছেন পুলিসকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিন...একজন রাজনৈতিক নেতা পুলিসকে প্রকাশ্যে বোমা মারতে বলছেন...কেউই আইনের উর্দ্ধে নন.. তারপর এতদিন হয়ে গেল , পুলিস কী করছিল?
লেটস সি আই অ্যাম হিয়ার।``
ডিজি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যের ফুটেজ দেখেছেন কীনা সরকারি আইনজীবীর কাছে তা জানতে চান বিচারপতি। এডিটেড ফুটেজ ছাড়াও পুরো ফুটেজ ডিজিকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। দুটোর মধ্যে আদৌ কোনও পার্থক্য আছে কীনা তাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।
আদালতের পর্যবেক্ষণে খুশি সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষ।
পাড়ুইকাণ্ডে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছেন বিচারপতি। তারপরই এনিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
First Published: Monday, April 7, 2014, 19:55