Last Updated: January 1, 2013 18:16

আজ কল্পতরু উত্সব। ১৮৮৬ পয়লা জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটীতে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। পূরণ করেছিলেন ভক্তদের মনোস্কামনা। সকাল থেকেই তাই ভক্তদের ঢল নামে কাশীপুর উদ্যানবাটি, দক্ষিণেশ্বর এবং কামারপুকুরে। ১৮৮৬-র পয়লা জানুয়ারি। বিকেল তিনটে। কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ওই দিন গৃহী ভক্তদের কাছে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। বলেছিলেন তোমাদের চৈতন্য হোক...
সেই শুরু। তারপর থেকে প্রতিবছর এইদিনে হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হন কাশীপুর উদ্যানবাটীতে।
বছরের এই একটি দিনে শ্রীরামকৃষ্ণের শয়নকক্ষে ঢুকে প্রণাম জানাতে পারেন ভক্তরা। কাশীপুর উদ্যানবাটীর মূল মন্দিরে ঢোকার জন্য লাইন শুরু হয়েছিল ৩১ডিসেম্বর সন্ধে সাতটা থেকে। তারপর সময় যত গড়িয়েছে লাইন আরও দীর্ঘ হয়েছে। দেশে ও রাজ্যে হিংসার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই প্রবণতা থেকে যেন মুক্ত থাকে মানুষ। শ্রী রামকৃষ্ণের কাছে এই কামনা করলেন অনেকে। কল্পতরু উত্সবে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরেও।
সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভক্তদের লম্বা লাইন। দূর-দূরান্ত থেকে পুজো দিতে আসেন অসংখ্য ভক্ত। ভোর চারটেয় মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয় ভবতারিণীর পুজো। এরপর দুপুরে দু ঘণ্টার জন্য মন্দির বন্ধ থাকার পর ফের মন্দিরের দরজা খোলে বেলা তিনেটর সময়। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত যতক্ষণ না ভক্তদের পুজো না শেষ হয় ততক্ষণ খোলা থাকে মন্দির। ভক্তরা জ়ড়ো হন শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের সামনেও। হুগলির কামারপুকুরেও সকাল থেকে শুরু হয় কল্পতরু উত্সব। শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থানে সকাল থেকেই নামে ভক্তদের ঢল। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটে।
First Published: Tuesday, January 1, 2013, 18:16