Last Updated: February 20, 2012 15:43

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাব খারিজ করে ইরান থেকে তেল আমদানী অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তকে ওয়াশিংটনের মুখে `সপাটে থাপ্পড়` বলেই মনে করছেন প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক নিকোলাস বার্নস। একই ভাবে নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের গাড়িতে বিস্ফোরণকাণ্ডের পরও তেহরানের প্রতি মনমোহন সরকারের নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ২০০৫-০৮ মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের রাজনৈতিক বিষয়ক দফতরের আন্ডার সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন বার্নস। বুশ জমানার এই প্রভাবশালী কর্তাই কার্যত ওয়াশিংটনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিদেশনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করতেন।
আহমদিনেজাদ সরকারের পরমাণু প্রকল্প ঘিরে বিতর্কের জেরে ইতিমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পালটা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছ`টি দেশে তেল সরবরাহ বন্ধ করেছে তেহরান। সেই সঙ্গে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজধানী তেহরানের একটি পরমাণু চুল্লিতে জ্বালানী রড প্রতিস্থাপন করে নয়া পরমাণু কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, কার্বন তন্তুতে তৈরি উন্নত মানের চতুর্থ প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ভারতে মোট তেল আমদানির ১২ শতাংশ আসে ইরান থেকে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমী দুনিয়ার প্রবল চাপ সত্বেও তেহরানের তেল নেওয়া বন্ধ করে অভ্যন্তরীণ বাজারে অস্থিরতা তৈরি করার ঝুঁকি নিতে চায়নি মনমোহন সরকার।এই চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্যে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে বার্নসের মন্তব্য বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে আহমদিনেজাদ সরকারের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ঘিরে এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই সোমবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে এসেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র একটি পর্যবেক্ষক দল। পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইএইএ'র সহকারী মহাপরিচালক হারমান ন্যাকার্টস ।
First Published: Monday, February 20, 2012, 17:32