Last Updated: March 21, 2013 09:57

পররাষ্ট্রনীতিকে ইস্যু করে ডিএমকের সমর্থন প্রত্যাহার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে কেন্দ্রেরই অধিকার না তাতে রাজ্যেরও বক্তব্য থাকবে? উঠছে এমন প্রশ্ন।
বুধবার পররাষ্ট্রনীতিকে আলোচ্য করে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সর্বদল বৈঠক। পঁয়ষট্টি পূর্ণ করেছে স্বাধীনতা। প্রজাতন্ত্রেরও বয়স বাষট্টি। এতদিন কোনও রাজনৈতিক দলের ইশতাহারে লেখা হয়নি যে কথা, কোনও নির্বাচনী প্রচারে ওঠেনি যে প্রসঙ্গ, তাকে ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে দেশকে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন করুণানিধি।
পাকিস্তানের প্রশ্নে স্বতন্ত্র অবস্থান নিলেও, এতদিন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পররাষ্ট্রনীতি মোটের ওপর অভিন্ন ছিল। বামেদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি থাকলেও, এনিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির বক্তব্য এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু, ডিএমকের শ্রীলঙ্কা বিরোধী প্রস্তাবের দাবি বদলে দিয়েছে সবকিছু। বুধবার দিল্লিতে পররাষ্ট্রনীতিকে আলোচ্য করে অনুষ্ঠিত হয়েছে সর্বদল বৈঠক। বৈঠক যথারীতি নিষ্ফলা। ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে কে বাদ দিলে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের বিপক্ষে।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দলের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশি রাষ্ট্র্রের সঙ্গে সম্পর্কের ইস্যু জড়িত এমন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাই দলের নীতি। যদিও,বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির সময় এর বিপরীত অবস্থান নিতেই দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে।
First Published: Thursday, March 21, 2013, 09:57