আর জি কর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে ইন্টার্নরা, Interns at R G Kar Hospital

উঠল আর জি কর হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

উঠল আর জি কর হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতিপ্রায় আঠেরো ঘণ্টা পর আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন। ঘটনার সূত্রপাত বড়দিনের সন্ধ্যায়। দমদম রোডের বাসিন্দা ঝন্টু বসু পেটে অসহ্য ব্যাথা নিয়ে আরজিকরের এমার্জেন্সিতে আসেন। কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিত্‍সক ঝন্টুবাবুকে একটি পিপিআই ইঞ্জেকশন দেন। এরপরই তার শরীর ফুলতে শুরু করে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ঝন্টু বাবুর স্ত্রী মিঠু দেবি ইন্টার্ন ডাক্তারদের হুমকি দেন। ইন্টার্নদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় তাদের গায়ে হাত তোলেন মিঠু দেবি। এর প্রতিবাদে তখন থেকেই টানা কর্মবিরতিতে নামেন ইন্টার্নরা।

অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার বেলা বারোটায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টার্নরা ছাড়াও ডেকে নেওয়া হয় ডিসি নর্থ বিশাল গর্গ, টালা থানার ওসি, অতিরিক্ত ওসি এবং আরজিকর আউটপোস্টের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ সমস্ত পদস্থ আধিকারিককে। এরপরই নতুন মোড় নেয় গোটা ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডিসি নর্থ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে সন্তোষ ধুনগানা সহ বেশ কয়েজন কর্তব্যরত ইন্টার্ন বিনা প্ররোচনায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মিঠু দেবিকে। কয়েকজন রোগীর আত্মীয়দের চেষ্টায় এরপর মিঠু দেবি সন্তোষকে পাল্টা চড় মেরেছেন বলে ফুটেজে দেখা যায়। পুলিসের এই বয়ান জানতে পেরে ব্যাপক চাপে পড়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় ইন্টার্নদের আড়াল করার প্রয়াস। পরস্পর বিরোধী কথা বলতে থাকেন হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থজিত চ্যাটার্জি। একবার গোটা ঘটনার জন্য রোগীর পরিবারকে দায়ি করেন, তারপর মুহূর্তে জানান সিসিটিভির ফুটেজে কি আছে তা তিনি জানেন না। সবশেষে চাঞ্চল্যকরভাবে তিনি জানান, কোনও কর্মবিরতিই নাকি হয়নি।






First Published: Monday, December 26, 2011, 21:20


comments powered by Disqus