Last Updated: May 30, 2013 09:48

বিসিসিআইয়ের অন্দরেই প্রেসিডেন্ট এস শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি দিন দিন যতই জোরাল হয়ে উঠুক না কেন, তাতে মোটেও কর্ণপাত করতে রাজি নন স্বয়ং শ্রীনি। তবে বর্তমানে বোর্ডের সব সদস্যই আস্তে আস্তে শ্রীনির পাশ থেকে সরে আসছেন। তাঁর অপসারণের পক্ষে গলা মিলিয়েছেন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই। ঘটনাপ্রবাহ আপাতত তামিলনাড়ুর `স্ট্রং ম্যান`-এর অপসারণের ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
তাঁকে সরাতে গেলে বিসিসিআই অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যকে শ্রীনির বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে। এতদিন পর্যন্ত নিজের ভোটব্যাঙ্ক সম্প্ররকে বেশ নিশ্চিত ছিলেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে গলা মিলিয়েছেন তাঁর বহু ইয়েসম্যানরাও।
অন্যদিকে, দিল্লি পুলিস কমিশনার একটি সংবাদসংস্থাকে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে আরও এক আইপিএল দলের জড়িত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শ্রীনির জামাই গুরুনাথ মেয়াপ্পন আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আপাতত শ্রীঘরে দিন গুজরান করছেন। বুধবার তাঁর পুলিসি হেফাজতের মেয়াদও শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ল। শুক্রবার পর্যন্ত তাঁকে পুলিসি হেফাজতে থাকতে হবে। হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম আগরওয়ালের মুখোমুখি বসিয়ে বিসিসিআই সভাপতি শ্রীনিবাসনের জামাইকে জেরা করতে চাইছে মুম্বই পুলিস। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা ইতিমধ্যে মেয়াপ্পনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। জামাই যেখানে ফিক্সিংয়ে জড়িত, সেখানে কী ভাবে এখনও বোর্ডের মাথা হয়ে শ্রীনিবাসন বসে থাকেন সেই বিষয়ে তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একজন বোর্ড সদস্য হিসাবে প্রথম সরাসরি সর্বসমক্ষে শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি তোলেন।
গতকাল আরও দুই বোর্ড সদস্য রাজীব শুক্লা ও অরুণ জেটলি বোর্ড সভাপতিকে বলেন, যতদিন না পর্যন্ত তিন সদস্যের কমিটি তাঁদের তদন্ত শেষ করছে ততদিন পর্যন্ত বোর্ড সভাপতি যেন বোর্ডের সমস্ত রকম কার্যকলাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
যদিও শ্রীনিবাসন এই কথা মোটেও স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, রাজীব শুক্লা নাকি তাঁকে শুধুমাত্র স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত বোর্ডের তদন্তে জড়িয়ে না পরার অনুরোধ করেছেন।
প্রাক্তন বোর্ড প্রধান আই এস বৃন্দা থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং নৈতিকতার প্রশ্নে এখনই বোর্ড প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবি তুলেছেন। এঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ারও।
First Published: Thursday, May 30, 2013, 09:48