Last Updated: October 19, 2013 08:52

যাত্রীরা টাকা দিলে, সেইমতো তাঁদের পরিষেবা দিতে রেল বাধ্য। বললেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। ট্রেনে খাবারের মান নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ তোলায় ক্যাটারিং সংস্থা আই আরসিটিসি-র কর্তাদের ডেকে জবাব তলব করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী। যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে সাতদিন পরপর ক্যাটারিং পরিষেবা রিভিউয়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কয়েক মাস আগেই দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে যাত্রীভাড়া বেড়েছে। এর ওপর আবার সতেরই অক্টোবর থেকে নতুন করে আরেক দফা ভাড়া বেড়েছে রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের। কারণ দাম বাড়ানো হয়েছে খাবারের। যাত্রীদের অভিযোগ, খাবারের গুণগত মান পড়ছে, অথচ দাম চড়ছে। শুক্রবার রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়েছেন, এধরনের অভিযোগ এলে তা রেলেরই অকর্মণ্যতার প্রমাণ। খাবারের দায়িত্ব রেল আইআরসিটিসি-কে দিয়েছে। কাজ ঠিকমতো না হলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি শোনা গেছে রেল প্রতিমন্ত্রীর গলায়।
যাত্রীদের অভাব-অভিযোগ দূর করতেও এবার সরাসরি যাত্রীদেরই সাহায্য চাইবে রেল। খাবারের মান থেকে পরিচ্ছন্নতা, সবকিছুই নজরে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইআরসিটিসি-কে। তাদের দেওয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বেস কিচেন, অর্থাত্ যেখানে রান্না হবে, তা আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। স্টেশন সংলগ্ন হতে হবে বেস কিচেনগুলিকে। আউটসোর্সিং করে যেখান-সেখান থেকে খাবার আনাতে পারবে না আইআরসিটিসি। রেলের নির্দিষ্ট জোনে এই খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত সবকিছুর অডিট হবে। কোনও তৃতীয় পক্ষ, যারা রেলের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কাউকে দিয়ে আগামিদিনে অডিট করানোর ভাবনা রয়েছে রেলের।
দূরপাল্লার ট্রেনে অঞ্চল-ভিত্তিক খাবারের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ কলকাতা থেকে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে তাতে সেই এলাকার মানুষের খাদ্যাভাস অনুযায়ী খাবার দিতে বলা হয়েছে। দ্রুতই মেনুতে এই বদল আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন রেল প্রতিমন্ত্রী।
First Published: Saturday, October 19, 2013, 08:52