Last Updated: June 23, 2013 22:00

জানভি টুরাকিয়া। জিয়া খান আত্মহত্যা রহস্যে নতুন সংযোজন। জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় যখন বেশ কিছুটা বিপাকে সুরজ, তখনই হঠাত ময়দানে অবতীর্ণ প্রাক্তন প্রেমিকা জানভি। জানালেন, জিয়া যতই অভিযোগ আনুক, তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের দীর্ঘ সম্পর্কে কখনই অশালীন বা হিংস্র আচরণ করেননি সুরজ।
একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জিয়া খানের আত্মহত্যার কথা শুনে অবাক হয়েছেন জানভি। তাঁর মতে জিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। সুরজকে ফাঁসানো হয়েছে। মিডিয়ার হাত থেকে বাঁচতেই এতদিন তিনি মুখ বন্ধ রেখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন জিয়া। তবে এখন তাঁর মুখ খোলার সময় এসেছে। বলেন, "আমি খবরের কাগজে যা পড়ছি, টিভিতে যা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে, সুরজ নয় অন্য কারও কথা বলা হচ্ছে। অবশ্যই জিয়ার পরিবারের প্রতি আমি সমব্যাথী। কিন্তু সুরজের সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে সেটা আমার একটুও বিশ্বাস হচ্ছে না! যেই সুরজের কথা বলা হচ্ছে, সেই সুরজ আমি যাকে চিনতাম সে নয়। আমার সুরজ কারও প্রতি হিংস্র আচরণ করতেই পারে না। যখনই আমাদের ঝগড়া হয়েছে, আমিই বেশি চিত্কার, চেঁচামেচি করেছি। সুরজ নিঃশব্দে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেত। সুরজ রেগে গেলে বা ওর মন খারাপ হলে অন্য কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়া রাখত। বিচ্ছেদের পরও আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। শুধু সুরজ নয়, আদিত্য আঙ্কল আর জারিনা আন্টির সঙ্গেও আমার সম্পর্ক খুব ভাল। ওরা আমাদের পরিবারের মত।"
জিয়ার পরিবার অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা শোনালেও জানভিও সুরজকে বাঁচাতে কোনও কসরতই ছাড়ছেন না। "আমার মনে হয় না কোনও মেয়ে সুরজকে আমার থেকে বেশি চেনে। ওকে অপছন্দ করাই কঠিন। আমাদের সম্পর্ক হওয়ারও অনেক আগে থেকে আমরা বন্ধু। আমার মা সুরজকে নিজের ছেলের মত ভালবাসে। সুরজ বাড়িতে এলে মা নিজে ওর জন্য রান্না করে। ওর সবথেকে বড় সমস্যা যে ও খুব আবেগপ্রবণ। আমার দেখা সবথেকে নরম মনের মানুষ সুরজ। শুধু নিজের মা, বাবা, ভাই, বোন, বন্ধুদের নয়, নিজের কর্মচারীদেরকেও ও পরিবার মনে করে," অকপট জানভি।
First Published: Sunday, June 23, 2013, 22:00