Last Updated: July 14, 2014 08:13

চব্বিশ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হল জার্মানি। স্বভাবতই শুধু বার্লিন কিম্বা মিউনিখ নয়। বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে মাতোয়ারা ডর্টমুন্ড থেকে ডাসেলডর্ফ। বন থেকে ব্রেমন। একশো তেরো মিনিটে গোটজের গোলের পরই দেশজুড়ে শুরু হয় উত্সব। আর রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধ ভাঙে উচ্ছ্বাস। আর উল্টো ছবি আর্জেন্টিনায়। নব্বইয়ের পর ফের ফাইনালে হেরে যাওয়ায় দেশজুড়ে হতাশা আর কান্না।

১৯৯০ ফাইনালে ব্রেমরের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মারাদোনার। আর ২০১৪ সালে গোটজের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হল লিওনেল মেসির। ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও সেই জার্মানির কাছে পরাজিত মারাদোনার উত্তরসূরীরা। তবে শুধু খেলোয়য়াড়রা নন। ফাইনালের পর আর্জেন্টিনা জুড়ে শোকের ছায়া। শুরু থেকে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছে সাবেয়ার দল। তবু আশা ছিল গোল আসবেই। কিন্তু বহু কাঙ্খিত সেই গোল আর আসেনি। ফলে একদিকে যেমন মাঠের মধ্যে চড়ছিল উত্তেজনার পারদ, তেমনই মাঠের বাইরেও টেনশন কিছু কম ছিল না। রাজধানী বুয়েনেস এয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল। মেসি ম্যাজিক দেখতে জড়ে হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ম্যাচের পর সকলেই হতাশ।

জার্মানির বিভিন্ন শহরেও জায়েন্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল। ফাইনাল ম্যাচ দেখতে জড়ে হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উত্সবে মেতে ওঠে গোটা জার্মানি। রি-উফনিফিকেশনের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ জিতল জার্মানি। তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে আত্মহারা হয় দেশের মানুষ।

লাতিন আমেরিকার মাটিতে এই প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ইউরোপের কোনও দেশ। তাই যেসমস্ত জার্মান সমর্থক এদিন উপস্থিত ছিলেন রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে, তাঁদের মধ্যেই বিশ্ব জয়ের উচ্ছাস ছিল তুঙ্গে। ব্যতিক্ম ছিলেন না চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মর্কেলও। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পাশে বসে গোটা ফাইনাল ম্যাচটাই দেখলেন তিনি। তারপর দেশের কৃতীদের বরণ করলেন নিজেই। ফাইনাল ম্যাচ দেখতে ব্রাজিলে এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। কারণ দুহাজার আঠেরোর বিশ্বকাপ যে হবে তাঁর দেশেই।
First Published: Monday, July 14, 2014, 08:13