Last Updated: July 23, 2013 20:01

অভিযুক্ত ৯ জন। পলাতক ১। সে কারণে শুরু করা যায়নি ফৌজদারি মামলা। কামদুনি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আজ এই যুক্তি পেশ করেন রাজ্যের আইনজীবী। তবে গ্রেফতার হওয়া ৮ জনের বয়ানের ভিত্তিতে মামলা শুরু না করার জন্য সরকারি আইনজীবীকে ফের একবার ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অসীম রায়। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-র অফিসার নিজেই কিভাবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সঙ্গে নিয়ে মামলা করলেন, সে প্রশ্নও ওঠে আদালতে।
সইফুল আলি, আনসার আলি, শেখ ইমামুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, ভোলা নস্কর ও গোপাল নস্কর। কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই ছ`জন। যদিও ওই ছজনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় নয়, মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩০৭ ধারায়। অর্থাৎ খুন নয়, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে বারাসত থানার পুলিস। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও ৩ জন। এরা হল আমিন আলি, নূর আলি এবং রফিকুল ইসলাম গাজি। রফিকুল ইসলাম গাজি পলাতক। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৯ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার বিচারপতি অসীম রায়ের এজলাসে সরকারি কৌঁশুলি মনজিত সিং জানান, রফিকুল পলাতক থাকায় ২৯৯ ধারায় মামলা শুরু করা যাচ্ছে না।
সরকারি আইনজীবীর যুক্তি খারিজ করে বিচারপতি জানতে চান, বাকি আট অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে মামলা শুরু করতে অসুবিধা কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। ২৯৯ ধারায় `স্পিলিট আপ ট্রায়েল` শুরু করা যায়নি বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। সোমবার ওই আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। সরকারি কৌঁশুলি সেখানে বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। অথচ মঙ্গলবার হাইকোর্টে তিনিই দ্রুত বিচার চাইছেন। এটা দ্বিচারিতার নামান্তর, অভিযোগ জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীরা। বারাসত আদালতে দ্রুত বিচারের আশায় কামদুনির ওই কলেজছাত্রীর পরিবার। নির্যাতিতার ভাই মঙ্গলবার কার্যত ভেঙে পড়েন ক্যামেরার সামনে।
First Published: Tuesday, July 23, 2013, 20:01