Last Updated: June 28, 2013 13:21

কামদুনি থেকে খরজুনা। বড়ঞা থেকে দাসপুর। প্রতিবাদের সামনের সারিতে মহিলারা। কামদুনিতে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকানিতেও দমে যাননি টুম্পা কয়াল। বন্ধুকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে শাসকের চোখ রাঙানির ভয় করেননি তিনি। পথে নেমেছেন। প্রথমে টুম্পার প্রতিবাদের পাশে এসে দাঁড়ান আরেক বন্ধু মৌসুমী। এরপর গোটা গ্রাম।
কামদুনির গ্রামের দুই মহিলার মতই মুখ্যমন্ত্রীর চোখরাঙানিকে ভয় পেতে রাজি নয় রাজ্যের শত শত টুম্পা-মৌসুমীরা। এখন সেই প্রতিবাদ প্রতিদিন কামদুনির সীমানা পেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের অন্যত্র। মহিলাদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে টুম্পার অসম সাহস, সাহস জুগিয়েছে শহরকেও। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের ধর্ষিতা, সুজেট, নাম-পরিচয় প্রকাশ করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ষিতা কেন লজ্জিত হবেন? ধর্ষণকারীদের লজ্জায় মুখ লোকানো উচিত। প্রথমে কলকাতার রাস্তায়, তারপর কামদুনিতে। টুম্পাদের প্রতিবাদী মিছিলে পা মিলিয়েছেন তিনিও। রাজনৈতিক রঙ ছেড়ে প্রতিবাদে সামিল কলকাতাও। শহরের বুক চিরে গিয়েছে হাজার মানুষের প্রতিবাদ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা এবং খড়গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগ ঢাকতে হঠাত্ই উদ্যোগী হন খোদ পুলিস সুপার। সেখানেও শাসকের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মহিলারা। কামদুনির আঁচ টের পাওয়া মুর্শিদাবাদের গ্রামেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরেও অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ওপর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব মহিলারা। শাসকের চোখ রাঙানির সামনে রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া এমন সাহসী প্রতিবাদ সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি বাংলা।
First Published: Friday, June 28, 2013, 13:21