Last Updated: January 1, 2012 20:15

কাটোয়া তাপবিদ্যুত্ প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-এর হাত থেকে ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন-এর হাতে গেলেও, এখনও জটে এই প্রকল্প। জমিঅধিগ্রহণ থেকে শুরু করে, কৃষকদের দাবিদাওয়া মিটিয়ে আদৌ প্রকল্প রূপায়ণ হবে কিনা, তা নিয়েও রয়ে গেছে সংশয়। জমি দাতারা তাই অনেকটাই হতাশ। ২০০৫ সালে কাটোয়া তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এরপর চলে দীর্ঘ টানাপোড়েন। পরে জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক এবং সর্বদলীয় বৈঠক করে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্কও ঠিক হয়, জমির স্থান অনুযায়ী, প্রতি একরে ১২ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ টাকা। বর্গাদারদের জন্যও ক্ষতিপূরণ ঠিক হয়। আর জমির সঙ্গে জড়িত খেতমজুরদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনশ শ্রম-দিবসের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। ঠিক হয়, তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে কাজ পাবেন জমিদাতা, বর্গাদার, খেতমজুররা। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের হাত থেকে হস্তান্তর হয়ে, এনটিপিসি কর্তৃপক্ষের হাতে। কিন্তু এখনও হয়নি সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ। বাকি রয়েছে প্রশাসনিক অঞ্চল, টাউনশিপ এবং অ্যাশপন্ডের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ। জমি দিতে
ইচ্ছুক জমি মালিকরা। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, এ কয়েক মাসে জমির দাম বেড়েছে অনেকটাই। এখন একর প্রতি ২০ লক্ষ টাকা দাম হাঁকছেন তাঁরা। রাজ্যে নয়া জমিনীতি অনুযায়ী জমিমালিকদের থেকে সরাসরি এনটিপিসি কর্তৃপক্ষকেই জমি কিনে নিতে হবে। জমির দাম নিয়েও নিজেদের মধ্যে একটা প্রাথমিক আলোচনাও করেছেন তাঁরা। কিন্তু জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে কে? সরাসরি কৃষকদের থেকে জমি কিনে নেওয়া যে রীতিমতো কঠিন, সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন এনটিপিসির কর্তারাও। রাজ্যের নয়া জমিনীতির জেরে কী আটকে যাবে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রকল্পের কাজ? সে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই আবার অধিগৃহীত জমির পাঁচিল ঘেরা অংশে চাষও করে ফেলেছেন। এখনও পর্যন্ত প্রকল্প না হওয়ায় এবং কাজ না পাওয়ায় হতাশ জমিদাতাদের অনেকেই।
First Published: Sunday, January 1, 2012, 20:19