সঙ্কটে কিংফিশার, সরকারকে দুষলেন বিজয় মালিয়া, kingfisher airlines in truble

সঙ্কটে কিংফিশার, সরকারকে দুষলেন বিজয় মালিয়া

সঙ্কটে কিংফিশার, সরকারকে দুষলেন বিজয় মালিয়াবেসরকারি বিমানসংস্থাগুলির আর্থিক সঙ্কটের জন্য কার্যত কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন কিংফিশার এয়ারলাইন্স-এক কর্ণধার বিজয় মালিয়া। ট্যুইটার-বার্তায় তাঁর অভিযোগ, ডিজিসিএ-র বর্তমান আইনে বিমান কোম্পানিগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে অলাভজনক রুটে বিমান চালাতে হয়। ফলে লোকসানের বহর বাড়তেই থাকে।
বাণিজ্যমহল সূত্রে খবর, কিংফিশারের ঋণের বোঝা বাড়তে বাড়তে ৭ হাজার ৫৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ধারে আর জ্বালানি দেবে না বলে ইতিমধ্যেই তেল সংস্থাগুলি কিংফিশারকে জানিয়ে দিয়েছে। যে সব বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে বিমান ভাড়া করে চালানো হচ্ছিল, তারাও বকেয়া টাকা চেয়ে পাঠিয়েছে। তলানিতে ঠেকেছে শেয়ারের দর। পাশাপাশি অক্টোবর মাসের বেতন না পাওয়ায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোট ১৩০ জন বিমানচালক।
এই পরিস্থিতিতে বিগত পাঁচ দিনে বিজয় মালিয়ার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা মোট ১৬২টি উড়ান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তাতেও দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি! শেষ মুহূর্তে একের পর এক উড়ান বাতিল করার অভিযোগে 'কিংফিশার এয়ারলাইন্স' -এর উদ্দেশ্য 'কারণ দর্শাও' নোটিস জারি করেছে 'ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন' (ডিজিসিএ)। 'ডিজিসিএ' প্রধান ই কে ভারত ভূষণের অভিযোগ, কিংফিশারের এই পদক্ষেপে সরাসরি অসামরিক বিমান পরিবহণ আইনের ১৪০ (এ) ধারার লঙ্ঘন। বর্তমান আইন অনুযায়ী কোনও উড়ান বাতিল করার অন্তত এক সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার তরফে এ ব্যাপারে 'ডিজিসিএ' কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা বাধ্যতামূলক। কিংফিশারের এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন ডিজিসিএ কর্ণধার।
সমস্যার সুরাহা করতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজয় মালিযা।
কেন্দ্রের মধ্যস্থতায় ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন তেল সংস্থা ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে যে টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে, সে ক্ষেত্রেও ছাড় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই উদ্যোগ বিশেষ সফল হয়নি বলেই খবর। মালিয়ার এদিনের বক্তব্য স্পষ্টতই সেই ইঙ্গিতবাহী।

First Published: Saturday, November 12, 2011, 18:16


comments powered by Disqus