Last Updated: August 25, 2013 20:04

নিকাশির পলি সরানো নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় কার? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দর মহলে। কেলেঙ্কারিতে পুরসভার একাধিক বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা জড়িয়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। এখনও সমাধান হয়নি ত্রিফলা কেলেঙ্কারির। এখন প্রশ্ন টোকেন কেলেঙ্কারীর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে পুর কর্তৃপক্ষ?
আশি লক্ষ টাকার দুর্নীতি নিয়ে সরগরম পুরসভার অন্দর মহল। নিকাশির পলি তোলা নিয়ে সামনে এসেছে বড় আর্থিক দুর্নীতি। কয়েক বছর আগেই শুরু হয় এই বেনিয়ম। পলি তুলে ধাপার মাঠে ফেলার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে লরি ভাড়া করে কলকাতা পুরসভা। ট্রিপ পিছু টাকা পান লরির মালিকরা। প্রতিটি ট্রিপের সময় যে জায়গা থেকে লরিটি নিকাশির পলি তোলে সেখানে একটি টোকেন দেওয়া হয়। বর্জ্য ধাপার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পৌঁছলে স্লিপ পান লরির চালকরা। পরে সেই স্লিপ পুরসভায় জমা দিলে টাকা দেওয়া হয় লরির মালিকদের। আর এখানেই শুরু পুকুর চুরি।
অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পুরসভার তরফে এমন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই টেকনো ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি কোম্পানির একই স্লিপ বার বার জেরক্স করিয়ে টাকা তোলা হয়েছে কোনও কোনও লরি পলি তোলা থেকে ধাপা পৌঁছনোর কাজ সেরে ফেলেছে কয়েক মিনিটের মধ্যে। কিন্তু পলি তোলা নিয়ে এতবড় কেলেঙ্কারির দায় কার? অডিট রিপোর্ট বলছে, কলকাতাকে তিনটি ভাগে ভাগ করে শুরু হয়েছিল কাজ। দায়িত্বে ছিলেন উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা। শুক্রবার অডিট রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর থেকেই একে অন্যের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত পুরসভার নিকাশী, জঞ্জাল ও অর্থ বিভাগ। তবে রিপোর্ট বলছে এই দুর্নীতির রেশ ছড়িয়ে গিয়েছে পুরসভার রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
ত্রিফলা কেলেঙ্কারি নিয়ে বহু চাপান উতোরের পর সাময়িক ব্যবস্থা নিয়েছিল পুরসভা। তবে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন অভিযুক্ত মেয়র পারিষদরা। এই অবস্থায় পলি সরানো নিয়ে দুর্নীতির ব্যাপারে আদৌ কি কোনও ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। প্রশ্ন সব মহলে।
First Published: Sunday, August 25, 2013, 20:05