Last Updated: June 11, 2013 12:46

অবশেষে হুঁশ ফিরেছে কলকাতা পুলিসের। সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীর মৃত্যুর বিনিময়ে এবার পুলিসকর্মীদের জন্য দাঙ্গা ও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এই প্রশিক্ষণের মধ্যে একটি বড় অংশ জুড়েই রয়েছে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
১৭ ফেব্রুয়ারি, তাপস চৌধুরীর মালা দেওয়া ছবি, সামনে মোমবাতি জ্বলছে। স্মরণ সভায় খোদ পুলিস অফিসার শিশির বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিস কর্মীদের প্রিশক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। অবশেষে কলকাতা পুলিস উদ্যোগ নিয়েছে এমন প্রশিক্ষণের। যে প্রশিক্ষণ থাকলে তাপস চৌধুরীর এভাবে মৃত্যু ঘটত না বলেই অভিজ্ঞ পুলিস অফিসারদের মত।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দাঙ্গা ও বিক্ষোভ প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিস। কলকাতা পুলিসের প্রতিটি ডিভিশন থেকে চারজন ইন্সপেক্টর, দুজন সার্জেন্ট, দুজন এএসআই ও কুড়িজন কনস্টেবলকে পুলিস ট্রেনিং স্কুলে এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাঙ্গা ও বিক্ষোভ প্রতিরোধের এই প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। আর তার মধ্যেই রয়েছে ওই বিতর্কিত বিষয়টি।
সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন দলে ব্যবস্থা এবং "ডু নট ক্রস" ব্যবহার। ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিস এই ব্যবস্থা চালু করলেও ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে দাঙ্গা ও বিক্ষোভ প্রতিরোধের নামে সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টার জন্য।
First Published: Tuesday, June 11, 2013, 12:46