Last Updated: February 14, 2013 17:47

সন্ধ্যার পর থেকেই কলকাতা পুলিসের এস আই খুনের অভিযুক্ত কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাভাইয়ের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হল। সেই তল্লাশি অভিযান চলল রাতভর। পুলিস কমিশনার পদ থেকে রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেই তল্লাসি অভিযান আরও গতি পেল। মু্ন্নাকে খুঁজতে জোর অভিযান চালাচ্ছে কলকাতা পুলিসের বিশাল বাহিনী।
গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে উঠে এসেছে কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাভাইয়ের নাম। পুলিস এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি। বুধবার, দিনভর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আজ কিন্তু তাঁকে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। চাপে পড়ে আপাতত গা ঢাকা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি মুন্নাভাই।
মঙ্গলবার গার্ডেনরিচে প্রকাশ্যে পুলিসকর্মীকে হত্যার ঘটনায় মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার ভূমিকা টিভি ক্যামেরার ফুটেজেই স্পষ্ট। জনপ্রতিনিধি মুন্নাভাইয়ের সঙ্গে সে দিন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের।
অথচ পুলিস মুন্নার বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের মামলা দায়ের করেনি। এফআইআরে নাম থাকলেও তাঁকে ধরার কোনও চেষ্টা হয়নি। বুধবার, দিনভর পুলিসের নাকের ডগায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়িয়েছেন মুন্না। এ দিন ১৫ নম্বর বরো অফিসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।
২৪ ঘণ্টার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুন্নাভাই বলেন জনতাই তার শক্তি। কিন্তু, বৃহস্পতিবার তাঁকে এই জনতার দরবারে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। এ দিন বরো অফিসেও তিনি যাননি। দিনভর কার্যত মুন্নাভাইয়ের টিকিরও দেখা মেলেনি।
গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে এফআইআরে নাম থাকা কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ মোক্তারের খোঁজে পুলিস তল্লাসি চালালেও মুন্নার খোঁজে কোনও অভিযান হয়নি। তবে, ফিরহাদ হাকিমের মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের হাত মাথায় থাকলেও এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যে খুব একটা সুবিধার নয় তা বুঝতে বাকি নেই ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যানের। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় রাজ্যপাল কড়া ভাষায় ফিরহাদ হাকিমের সমালোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আত্মগোপন করে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেই কি গা ঢাকা দিয়েছেন মুন্নাভাই?
First Published: Thursday, February 14, 2013, 23:14