Last Updated: October 18, 2013 08:47

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে চলছে লক্ষ্মী আরাধোনার তোড়জোড়। শাঁখ বাজিয়ে, সুগন্ধি ধুপ দিয়ে আজ দুর্গা কন্যাকে বরণ করার পালা। প্রার্থনা একটাই, ঘর আলো করে যেন পাক্কা এক বছর মা লক্ষ্মী পরিবারের একজন হয়েই বিরাজ করেন। পরিবারের একজন হয়েই। মা দুর্গার বিসর্জনের পর ফাঁকা বারোয়ারী মণ্ডপ গুলিতে খুশির রেশ ধরে রেখে উপস্থিত লক্ষ্মী দেবী। চলছে খিচুড়ি, লুচি, লাবড়া সহ বহু সুখাদ্যে ভরা লক্ষ্মী ভোগের প্রস্তুতিও। শীতের খবর নিয়ে হাজির কপিও। কিন্তু বাজার যে লক্ষ্মীছাড়া। তাই সাধ আর সাধ্যের মধ্যে তাল মেলাতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন গৃহস্থরা। ফলমুল থেকে শাকসব্জির দাম যেমন বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে প্রতিমারও।
শুধুমাত্র কলকাতাই নয় চড়া বাজার দরে নাভিশ্বাস উঠছে জেলাগুলিরও। ধনলক্ষ্মীর
আরাধনার আগেই মূল্যবৃদ্ধির আঁচে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। প্রতিমা থেকে পুজোর সামগ্রী সবেতেই থাবা বসিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি।
এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে কিন্তু সেই লক্ষ্মীকে ঘরে আনতেই কালঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের। বর্ধমানে কৃষ্ণনগরের প্রতিমার দামই শুরু হয়েছে ৫০০ টাকা থেকে। খড়ের কাঠামোর তৈরি প্রতিমার দাম আরও চড়া। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি ছোট মাপের লক্ষ্মী প্রতিমার দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু। পুজোর উপকরণের বাজারেও যেন আগুন লেগেছে।
আপেল ৪৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা কিলো
কলা ৪০ টাকা ডজন
শাকালু ৪০ টাকা কিলো
শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কিলো
বেদানা ১৫০ টাকা কিলো
পানিফলের দাম ৬৬ থেকে ১১০ টাকা প্রতি কেজি।
অবস্থাটা এক জলপাইগুড়িতেও। প্রতিমা থেকে দশকর্মার সামগ্রী কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন তা বুঝতে পারছেন না ক্রেতারা। কারণ সবকিছুরই দাম যে লাগাম ছাড়া।
লক্ষ্মীর আরাধনায় এবার ঘুম ছুটেছে গৃহস্থের।
First Published: Friday, October 18, 2013, 08:47