Last Updated: January 20, 2012 17:00

কর্নাটকে অবৈধ আকরিক লোহা খনন মামলায় বিড়ম্বনা বাড়ল সোমানাহল্লি মাল্লাইয়া কৃষ্ণর। তাঁর বিরুদ্ধে লৌহ আকরিক খনন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার তদন্তের ব্যাপারে লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশকে কর্নাটক হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু শুক্রবার সেই আর্জি সরাসরি খারিজ করে তদন্ত জারি রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্ত জারি রাখার বিষয়ে লোকায়ুক্ত আদালতের রায় বহাল রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল(সেকুলার) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীর ক্ষেত্রেও।
সমাজকর্মী টি জে আব্রাহামের দায়ের করা একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর লোকায়ুক্ত আদালতের বিচারক এন কে সুধীন্দ্র রাও-এর নির্দেশে কর্নাটকে অবৈধ খননে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্যের লোকায়ুক্ত পুলিশ। ১৯৯৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৪-এর মে মাস পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন কৃষ্ণ। অভিযোগ, সে সময় বল্লারি-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় অবৈধ খননের বিষয়ে প্রভাবশালী 'মাইনিং লবি'-কে সহায়তা করেছিলেন তিনি।

কংগ্রেসেরই আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ধর্ম সিংহ ও জেডি(এস)-এর কুমারস্বামীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি ফৌজদারী দণ্ডবিধির ১৫৬(৩) ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ১১ জন আমলাকেও।
লোকায়ুক্ত আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এস এম কৃষ্ণ। প্রাথমিক ভাবে তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে লোকায়ুক্ত আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশও জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট। কিন্তু এদিন বিচারক এন কে সুধীন্দ্র রাও-এর সেই রায়কেই অনুমোদন করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট। ফলে সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক ভাবে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কয়েক মাস আগেই জমি কেলঙ্কারির জেরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এদিনই বিজেপি'র তরফে কার্যত বিদেশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে বলা হয়েছে, ইয়েদুরাপ্পার সময় কংগ্রেস যে মাপকাঠি নিয়েছিল, এস এম কৃষ্ণর ক্ষেত্রেও তা বজায় রাখা প্রয়োজন।
First Published: Friday, January 20, 2012, 17:57