Last Updated: December 31, 2013 19:10
দুমাসেই ভেঙে চুরমার বড় হওয়ার স্বপ্ন। বছরের শেষদিনে বিদায় নিলেন মধ্যমগ্রামের নির্যাতিতা। আর আমাদের জন্য রেখে গেলেন একরাশ লজ্জা। লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। স্বপ্ন ছিল বাবা-মাকে একটা সুখের জীবন উপহার দেওয়ার। সে স্বপ্নে প্রথম আঘাত লাগে আড়াই মাস আগে।
প্রথম নির্যাতন
২৫ অক্টোবর বাবা অসুস্থ বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে মধ্যমগ্রামে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে স্থানীয় কিছু যুবক।
আবার নির্যাতন
২৬ অক্টোবর থানায় অভিযোগ জানায় কিশোরীর পরিবার। মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ফের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
তদন্ত শুরু
কিশোরীর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর থেকেই অভিযুক্তদের সঙ্গীরা কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে।
আরও লাঞ্ছনা
আতঙ্কে মধ্যমগ্রাম ছেড়ে এয়ারপোর্টের কাছে থাকতে শুরু করে কিশোরীরা। দুষ্কৃতীরা সেখানেও পিছু ধাওয়া করে । চলতে থাকে হুমকি, নির্যাতন। একইসঙ্গে চলে কিশোরীর নামে কুত্সা ছড়ানো।
চরম সিদ্ধান্ত
অপমানের এই জ্বালা জুড়োতে তেইশে অক্টোবর গায়ে আগুন দেন ওই কিশোরী। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালেও অবহেলা!
কিন্তু, হাসপাতালেও সামান্য সহানুভূতির ছোঁয়াটুকু পেলেন না অগ্নিদগ্ধ কিশোরী। আর জি করের ওয়ার্ডে চরম অবহেলাতেই কিশোরী জীবনের শেষ দিনগুলি কাটান বলে অভিযোগ পরিবারের।
লড়াই শেষ
বছরের শেষ দিনে বিদায় নিলেন নির্যাতিতা। তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি সমাজ। ধর্ষণের পরেও পদে পদে লাঞ্চনা, অপমান তাঁকে ঠেলে দিয়েছে আত্মহত্যার দিকে। এমনকি গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বেডেও জুটেছে চরম অবহেলা। বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন যে কিশোরী, একরাশ অভিমান বুকে নিয়ে বিদায় নিতে হল তাঁকে।
এখন প্রশ্ন লড়াই শুরু হবে কিনা...
First Published: Tuesday, December 31, 2013, 19:10