বিলেতের অষ্টমীতেও সেই ভক্তি, সেই আবেগ

বিলেতের অষ্টমীতেও সেই ভক্তি, সেই আবেগ

বিলেতের অষ্টমীতেও সেই ভক্তি, সেই আবেগহলই বা কলকাতা কিম্বা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকদূর। নাই বা এল শরতকাল। নাই বা ফুটল কাশফুল। পুজো কিন্তু জমিয়ে চলছে বিলেতেও। অষ্টমীর সকালে লন্ডনে অনেকেই দেখা গেল পুষ্পাঞ্জলি দিতে। তাতে প্রবাসী বাঙালিরা তো আছেনই সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিদেশিরাও। পুজোর পরই থাকল ভোগের ব্যবস্থা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা কলকাতা নয়।

হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে দুর্গাপুজোয় মেতেছেন লন্ডনের বাসিন্দারা। এবার সুবর্ণজয়ন্তী লন্ডনের ক্যামডেনের দুর্গাপুজোর। এরাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে অনেকদূরে। কিন্তু ক্যামডেনের পুজোতেও যেন একটুকরো বাংলা। অঞ্জলি দেওয়া। ভোগ খাওয়া। দেদার গল্প আড্ডা। পাশপাশি বাড়ি কিম্বা পরিজনদের থেকে দূরে থাকার কষ্ট। সব যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে ক্যামডেনের পুজোয়।

এবার ২৪ বছরে পড়ল লন্ডন থেকে বেশ খানিকটা দূরে মিলটন কিনসের পুজো। বাঙালিয়ানায় এতটুকুও ভাটা নেই এখানে। শুধু পুজো হয় ব্রিটেনের পঞ্জিকা মেনে। তবুও পুজোর চারদিন যেন মাতৃ আরাধনায় এক টুকরো বাংলা উঠে আসে মিলটন কিনসে।

১৯৯০ সালে মাত্র দশ বারো জন বাঙালি মিলে শুরু করেন এই মিলটন কিনসের পুজো। তারপর থেকে প্রতিবারই বেড়েছে পুজোর কলেবর। প্রতিমা এখানে ফাইবার গ্লাসের। আগামী বছরই এই পুজো পার করবে সিলভার জুবলি। পুজো উদ্যোক্তাদের গলায় রয়েছে সেই আবেগের সুরও।

মিলটন কিনসের জনপদও খুব বেশি পুরোনো নয়। মাত্র বছর তিরিশ আগে গড়ে ওঠে এই মিলটন কিনস। এখানে এখন প্রায় পঁচিশ থেকে তিরিশটি বাঙালি পরিবারের বাস। পুজোর মূল উদ্যোক্তা এঁরাই। তবে এখন আশেপাশের আরও বেশকিছু বাঙালি সামিল হন এই পুজোয়। সারা বছর ব্যস্ততায় পুজোর কদিন কটাদিন নতুন জামাকাপড়ের মাঝে একেবারেই বাঙালিয়ানা । গল্প আড্ডা, সবার সঙ্গে দেখা করা পুরোটাই অন্যরকম।






First Published: Monday, October 22, 2012, 17:06


comments powered by Disqus