Last Updated: October 15, 2012 10:26

পিতৃ পক্ষের অবসান। দেবীপক্ষের সূচনা। আজ মহালয়া। শরতের ভোরে রেডিও-র সিগনেচার টিউনের পর, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির উত্সবের সূচনা। শিউলির গন্ধ, কাশফুলের দোলায়, আগমনীর সুরে শারদীয়ার শুরু। বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালান কিংবা কুমোরটুলির স্টুডিওয় প্রথা মেনে প্রতিমার চোখে আজই শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। মহালয়া মানেই পিতৃতর্পণ। পিতৃপক্ষের অবসানে আজই পিতৃতর্পণের শেষ দিন। উত্সবের প্রাক সময়েই রাজ্যজুড়েই ভোররাত থেকে শুরু হয়ে গেছে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে এই রীতি। শহর এবং শহরতলির গঙ্গার ঘাটগুলিতে পিতৃতর্পণে অংশগ্রহণ করেছেন অসংখ্য মানুষ।
মহালয়ার ভোর থেকেই দক্ষিণেশ্বরের মন্দির চত্বরে মানুষের ঢল। দেবীপক্ষের সকালে দেবী দর্শনের জন্য ভিড় মন্দিরে। এমনিতেই প্রতি অমাবস্যাই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভিড় থাকে, আজ ছুটির দিন হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। মন্দির সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটে তর্পণে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে তাঁদের অনেকেই পুলিসের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। প্রচণ্ড ভিড়ে বারবারই পুলিসের সঙ্গে পুণ্যার্থীদের বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। যদিও পুলিস তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
First Published: Monday, October 15, 2012, 11:50