Last Updated: September 10, 2013 22:28

তদন্ত শুরু হতে না হতেই রায় দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দিলেন, দলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই হাসনাবাদে খুন হয়েছেন সিপিআইএম নেতা। সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর সময়ও তদন্ত শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন, দুর্ঘটনাই এসএফআই নেতার মৃত্যুর কারণ।
সোমবার রাতে খুন হন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গির আলম। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে জেলার পুলিস সুপার মুখ খুললেন মঙ্গলবার বিকেলে। কোন কারণটা থাকবে সেটা কিন্তু তার আগেই বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনীতির রঙ চড়াচ্ছে। সিপিআইএমের অর্ন্তদ্বন্দ্বে খুন। আর তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। বারাসত কাছারি ময়দানের জনসভা জুড়েই থাকল হাসনাবাদ। আর সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার হালটা তেমন ভাল নয়।
ফের দলতন্ত্রের অভিযোগ। উত্তর চব্বিশ পরগনায় নতুন জেলা পরিষদ গঠনের পর এই প্রথম সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকা হল তৃণমূলের জেলাসভাধিপতি রহিমা বিবিকে। এরআগে একাধিকবার উত্তর চব্বিশ পরগনায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী শিবিরের জেলাসভাধিপতিদের না ডাকার অভিযোগ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রশাসনিক কাঠামোতে সভাধিপতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। কিন্তু বৈঠকে দেখা যেত না তাঁদের। তবে উত্তর চব্বিশ পরগনায় জেলা পরিষদ তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পর প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা গেল জেলাসভাধিপতিকে।
First Published: Tuesday, September 10, 2013, 22:28