Last Updated: January 29, 2014 19:20
প্রস্তুতি চলছিলই। এবার ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। লক্ষ্য ২০১৪ লোকসভা নির্বাচন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাল তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে দিল্লির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় চলে যাওয়া, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি। তারই কি ঘোষণা হবে ব্রিগেডের সমাবেশে? আগামিকালের সমাবেশে কি ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
৩০ জানুয়ারির ব্রিগেডের সভায় জমায়েত নজিরবিহীন করতে তৃণমূল শিবিরের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।মঙ্গলবার রাতেই সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ব্রিগেডে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে সভামঞ্চ এবং গোটা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে পুলিস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন
ব্রিগেডের সমাবেশ এমন ভাবেই করতে হবে, যাতে আগামী চল্লিশ বছর এই সমাবেশের কথা মনে রাখেন রাজ্যের মানুষ।
শুধুমাত্র জনসমাবেশের মাপকাঠিতেই নয়, রাজনৈতিকভাবেও এই সমাবেশ যথেষ্ট তাতপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় জমায়েতে রেকর্ড জনসমাবেশ করে রাজ্যের বিরোধীদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চান তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিকে বিজয় উতসবের আবহের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলকে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আর্জি জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য রাজনীতিতে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর পর এবার তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা। লোকসভা ভোটের পর কেন্দ্রে অকংগ্রেসি, অবিজেপি, তৃতীয় বিকল্প ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে দিল্লির মসনদে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্যপূরণে দরকার এরাজ্য থেকে যত বেশি সম্ভব লোকসভা আসনে দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনা। তাই পাখির চোখ রাজ্যের বিয়াল্লিশটি আসনই । লোকসভায় ভোটে এরাজ্যে তৃণমূলের সাফল্যই ঠিক করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে দলের ভূমিকা। ব্রিগেড সমাবেশের প্ল্যাটফর্ম থেকে সেই বার্তাই সম্ভবত দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী, ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
First Published: Wednesday, January 29, 2014, 19:20