Last Updated: January 3, 2012 11:17

বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাধায় সিঙ্গুর ছেড়ে সানন্দে চলে যেতে হয়েছিল টাটাদের। গুজরাতের সানন্দ এখন দেশের শিল্প মানচিত্রে উঠে এসেছে প্রথম সারণীতে। কীভাবে এই কাজ সম্ভব হল, তা দেখতে গুজরাত যাওয়ার কথা ছিল এরাজ্যের বিধায়কদের। কিন্তু, শেষমুহূর্তে তাতেও বাধ সাধলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার ইতিহাসে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।
কীভাবে শিল্পনগরী হিসেবে প্রথমসারিতে উঠে এসেছে গুজরাতের সানন্দ, তা দেখতে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিধানসভার শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। এই কমিটিতে ৬ জন তৃণমূল, ৩ জন বাম এবং ১ জন কংগ্রেস বিধায়ক আছেন। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর ঠিক হয় সোমবার রাতের ট্রেনে রওনা হবেন তাঁরা। সেই মতো অধ্যক্ষের অনুমতি, টিকিট কাটা, গুজরাত সরকারকে চিঠি পাঠানো এমনকি এক অফিসারও রওনা হয়ে যান।

কিন্তু, সোমবার দুপুরে আচমকা বেঁকে বসেন তৃণমূলের বিধায়করা। কেন? স্ট্যান্ডিং কমিটিতে মূলত তৃণমূল বিধায়কদের আগ্রহেই ঠিক হয়েছিল এই কর্মসূচি। তাহলে আপত্তি কেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সাড়ন্দে প্রতিনিধি যাওয়ার কথা জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী। জানতে পেরেছেন শেষমুহূর্তে। আর তারপরই এই সফর নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি, সেখানে কোন সাহসে যাবেন তৃণমূলের বিধায়করা? কিন্তু, কেন সায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর? গত বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী জয়ী হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে, গুজরাত নিয়ে তো আপত্তি থাকার কথা নয়?
সিঙ্গুরে ৮০ শতাংশ কারখানার কাজ শেষ করার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাধায় ফিরে যেতে হয়েছিল টাটাদের। কিন্তু, সে তো এখন অতীত। তাহলে কি ন্যানো কারখানাকে সামনে রেখে গুজরাতে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তা দেখতে দিতেই আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর? একসময় টাটাদের প্রজেক্ট দেখে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় টাটাদের পক্ষে রীতিমতো সওয়াল করেছিলেন। এবার সেই কথা মাথায় রেখেই কি আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর? কারণ যাই হোক না কেন, টিকিট কাটার পর সফর বাতিল বিধানসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও, তৃণমূল বিধায়কদের দাবি তারা এমনি এমনই যাচ্ছেন না।
First Published: Tuesday, January 3, 2012, 11:17