Last Updated: September 13, 2013 21:43

ফেসবুকে মানুষ অনেক কিছুই বলে ফেলে। দীর্ঘকাল চেপে রাখা কথা, গোপন কিছু যা কাউকে বলা যায় না, তা বোধহয় অনেক সহজ হয় ফেসবুক ওয়ালে লিখতে। সেরকমই কিছু করলেন ফ্লোরিডার ৩১ বছরের ডেরেক মেদিনা। স্ত্রীকে খুন করে সেই কথা প্রকাশ করলেন ফেসবুকে।
ডেরেক রান্নাঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, "আমি স্ত্রীকে খুন করার জন্য জেলে যাচ্ছি বা ফাঁসিকাঠে ঝুলছি। ফেসবুকের বন্ধুরা তোমাদের আমি মিস করব। তোমরা আমাকে খবরে দেখতে পাবে।" দক্ষিণ মিয়ামির বাসিন্দা মেদিনার গ্রেফতার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে স্ত্রীকে খুন করার পর নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ডেরেক। তাদের বলেন নিজের কীর্তির কথা। তারপর পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
ফেসবুকের বন্ধুরা শঙ্কিত হয়ে কমেন্ট করে,
"কী হয়েছে???? ডেরেক।"
"কী??????"
ফেসবুকের অন্য ইউজাররা ছবি দেখে বিরক্ত হয়ে লিখেছেন,
"হে ভগবান এ কী পাগলামো...কেউ স্ত্রীকে খুন করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে?"
তবে বিরক্ত হলেও প্রচুর শেয়ার হয়েছে মেদিনার পোস্ট করা ছবি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ছবিটি অনলাইন ছিল। তারপর অভিযোগ পেয়ে ফেসবুকের তরফে ছবিটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। মেদিনা ও তাঁর স্ত্রীর পেজও ডিসেবল করে দেয় ফেসবুক।
ছবির নিচে মেদিনা লিখেছেন তাঁর স্ত্রী তাঁকে অপমান করত। নিজের বন্ধুদের বোঝাতে চেয়েছেন কেন তিনি স্ত্রীকে খুন করলেন। পুলিস রিপোর্ট বলছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া চলছিল মেদিনার। স্ত্রীকে বন্দুক তাক করেন মেদিনা। স্ত্রী মেদিনাকে ঘুসি মারতে থাকেন ও বন্দুক কেড়ে নেন। মেদিনা স্ত্রীর হাত থেকে ফের বন্দুক ছিনিয়ে নেন। স্ত্রী ছুরি বের করেন। মেদিনা ছুরি ছিনিয়ে নিলে স্ত্রী তাঁকে আবার ঘুসি মারেন। এরপরই মেদিনা স্ত্রীকে একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেন।
ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিল তাঁদের দশ বছরের মেয়ে। মেদিনা নিজেই সেল্ফ হেল্পের বই প্রকাশ করতেন। ইমশনালরাইটার.কম নামে একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে তাঁর। ওয়েবসাইট থেকে জানা গেল, এফেক্টিভ কমিউনিকেশন ও ম্যারেজ কাউন্সেলিম টিপস নিয়ে বই লিখতেন মেদিনা। তাঁর ওয়েবসাইটে মেদিনা লিখেছেন, আমার লক্ষ্য পাঠকদের চোখ খুলে দেওয়া, তাঁদের জীবন বদলে দেওয়া।
খুনের কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে নৈশভোজ সারার একটি ছবি পোস্ট করেন মেদিনা। তিনজনেই হাসছিলেন সেই ছবিতে।
First Published: Friday, September 13, 2013, 21:43