Last Updated: December 4, 2013 13:18
রাগের বশে মাথায় হেলমেটের বাড়ি। তার জেরে প্রকাশ্য রাস্তায় মৃত্যু হল এক লজকর্মীর। খুনের পরই ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাতে শিয়ালদার দেবেন্দ্র মুখার্জি রোডে এই ঘটনা ঘটে। মুচিপাড়া থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর।
চোদ্দ ডি, ডক্টর দেবেন্দ্র মুখার্জি রোড। এখানেই রয়েছে একটি লজ। এই লজেই কাজ করতেন নিরঞ্জন জানা। মঙ্গলবার রাতে লজের এক আবাসিকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তখন রাত সোয়া নটা। প্রাথমিক বচসার পরে ওই আবাসিক লজ ছেড়ে চলে যান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিন-চারজনের দল জুটিয়ে নিয়ে লজে ফিরে আসেন তিনি। অভিযোগ, নিরঞ্জন জানাকে তারাই মারতে মারতে লজের ভিতর থেকে রাস্তায় নামিয়ে আনে। গণ্ডগোল তখন চরমে। অভিযোগ, ক্ষুব্ধ আবাসিক রাগের বশে নিরঞ্জনের মাথায় হেলমেট দিয়ে সজোরে আঘাত করে। সঙ্গে লাঠি দিয়েও মারা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিরঞ্জন জানার। তারপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। নিরঞ্জনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, লজমালিক রমাকান্ত যাদবের চোখের সামনেই সব ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও তিনি কোনও বাধা দেননি। মুচিপাড়া থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লজমালিককে আটক করেছে।
কেন খুন হতে হল নিরঞ্জনকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই লজে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে। মঙ্গলবার রাত নটার পর তার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই ওই আবাসিককে লজ ছাড়তে বলেছিলেন নিরঞ্জন। আর তাতেই চটে যান ওই আবাসিক। যে লজে খুনের ঘটনা ঘটেছে, তার একেবারে কাছেই সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। এমন জায়গায় দেহব্যবসা চলছে কীভাবে?
নিরঞ্জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মুচিপাড়া থানার পুলিসের পাশাপাশি ডিসি সেন্ট্রাল ডিপি সিং এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে যান। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মুচিপাড়া থানার পুলিস ও লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
First Published: Wednesday, December 4, 2013, 13:18