গোধরা পরবর্তী দীপদা গণহত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

গোধরা পরবর্তী দীপদা গণহত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

গোধরা পরবর্তী দীপদা গণহত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবনগুজরাটে ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গাপর্বের মেহসনা দীপদা দরওয়াজা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল বিশেষ আদালত। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে ৬১ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক এস বি শ্রীবাস্তব।

এঁদের মধ্যে ৫১ জনের বিরুদ্ধে সিট উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বিচারক শ্রীবাস্তব। প্রমাণাভাবে মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন, তত্‍কালীন বিজেপি বিধায়ক প্রহ্লাদ গোসা এবং ভিসনগরের বিজেপি পুরপ্রধান দয়াভাই প্যাটেল। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে রয়েছেন, এই মামলার প্রথম তদন্তকারী পুলিস ইন্সপেক্টর এম কে প্যাটেল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম গোধরা দাঙ্গার মামলায় কোনও পুলিস অফিসার দোষী সাব্যস্ত হলেন।

২০০২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি গোধরার সবরমতী এক্সপ্রেস অগ্নিকাণ্ডের পর মেহসানা জেলার ভিসনগর শহরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দীপদা দরওয়াজা এলাকা ঘিরে হামলা চালায় কয়েক`শ দুষ্কৃতী। বাডি়তে আগুন ধরিয়ে এবং কুপিয়ে খুন করা হয় ৪ শিশু এবং ৫ মহিলা-সহ ১১ জনকে। দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম পরিবারগুলির অভিযোগ, হামলাকারীরা অধিকাংশই ছিল স্থানীয় বিজেপি`র পরিচিত মুখ।

পুলিস ইন্সপেক্টর এম কে প্যাটেল আক্রান্ত পরিবারগুলির নিরাপত্তার জন্য বিন্দুমাত্র সচেষ্ট না হয়ে হামলার সুযোগ করে দেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে গুজরাট পুলিসের হাতে তদন্তভার ন্যস্ত হলেও তদন্তকারী অফিসার এম কে প্যাটেল পুরো বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীকাল শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গোধরা পরবর্তী কাণ্ডের পঞ্চম মামলা হিসেবে দীপদা দরওয়াজা গণহত্যার তদন্তভার যায় সিট-এর হাতে। গোধরা পরবর্তী দীপদা গণহত্যায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

প্রসঙ্গত, পরবর্তী মোট ৯টি দাঙ্গার মামলার তদন্ত রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে। তার মধ্যে তৃতীয় মামলাটিরই নিষ্পত্তি হল এ দিন। গত বছর নভেম্বর মাসে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির রাতে সরদারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৩ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত করে মেহসানার বিশেষ আদালত।

এর পর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল আনন্দ জেলার ওদে গণহত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাজা হয় ২৩ জনের। চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষিতে এদিন মেহসানা জেলার বিশেষ `সিট`-আদালতের রায়কে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

First Published: Monday, July 30, 2012, 16:43


comments powered by Disqus