Last Updated: March 13, 2013 09:47
বার্সেলোনা (৪) এসি মিলান (০)
(মেসি ২, ডেভিড ভিয়া, আলবা)দেখুন বার্সেলোনার মায়াবি রাতের ভিডিওবিশ্বফুটবলে মায়াবি রাত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্বপ্নের কামব্যাক করল বার্সেলোনা। প্রথম লেগে দুগোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে ইতালির চ্যাম্পিয়ন ক্লাব এ সি মিলান ৪-০ গোলে হারিয়ে দিল স্প্যানিশ জায়েন্টরা। হাইপ্রোফাইল ম্যাচের পর কয়েকঘণ্টা কেটে গেলেও বার্সার ফুল ফোটানো ফুটবলের ঘোর থেকে যেন এখনও বেরোতে পারছে না ফুটবলবিশ্ব।
দেখুন ম্যাচের হাইলাইটসএকটা অসাধারণ দলের যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন তারা কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ দেখাল ন্যু ক্যাম্পের মাঠ। প্রথম লেগে হেরে বিদায় নিতে চলা বার্সেলোনা ৪-০ গোলে এসি মিলানকে হারিয়ে ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ আটে উঠে গেল।
এসি মিলানের কাছে প্রথম লেগে হার, পরপর দুটো এল ক্লাসিকো বিপর্যয়ে কোণঠাসা মেসি জোড়া গোল করে ফের বর্ণময় দুনিয়ায় ফিরে এলেন। মেসি প্রমাণ করলেন মহান থেকে কিংবদন্তি হয়ে উঠতে যা দরকার তার অন্যতম প্রধান শর্ত, মানে অসম্ভব চাপের মুখে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন ।
প্রথম লেগে এসি মিলানের ঘরের মাঠে ইতালির সেরা ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ০-২ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে মঙ্গলবার রাতে (ভারতীয় সময়) কোনও গোল হজম না করে অন্তত তিন গোলে জিততে হত মেসিদের। হারের রাস্তা থাকা, চোটের কবল থাকা, সমালোচকদের দাঁতনখের আঁচড় খাওয়া বার্সাকে নিয়ে তাই বিশেষ আশা ছিল না। মেসিরা কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিলেন।
দেখুন মেসির জোড়া গোল 
গত তিন সপ্তাহে মেসিদের পারফরম্যান্স তিকিতাকার ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। প্রথমে এ সি মিলানে কাছে হার। তারপর রোনাল্ডোদের কাছে জোড়া বিপর্যয়। কোচ টিটো না থাকায় কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ছিল মেসিদের কাছে। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচ বার্সার কাছে ছিল অস্তিত্বরক্ষার ম্যাচ ছিল।দেওয়ালে পিঠ ঢেকে যাওয়ায় অবস্থায় সেরা ফুটবলটা বের করে আনলেন মেসি, ইনিয়েস্তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসাবে প্রথম পর্বে দু গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার নজির গড়লেন তারা। মাঝমাঠে ফুল ফোটালেন ইনিয়েস্তা আর জ্যাভি। ন্যু ক্যাম্প সাক্ষী থাকল মেসি ম্যাজিকের। দলের মতই এই ম্যাচ মেসির কাছেও প্রমাণ করার ম্যাচ ছিল। প্রথমার্ধে মেসির অনবদ্য দুটো দলই চাঙ্গা করে দেয় বার্সা শিবিরকে।

খেলার পাঁচ মিনিটে জ্যাভির সঙ্গে ওয়াল খেলে অনবদ্য গোল করে বার্সা এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনীয় সুপারস্টার। বিরতির আগে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করে বার্সার হয়ে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন্টিনীয় সুপারস্টারই। ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে ৫৮ গোল করে পেছনে মেসি ফেলে দিলেন প্রাক্তন ডাচ তারকা নিস্তেলরুইকে। বার্সার আক্রমনাত্মক ফুটবল সামলাতে মিলানের জমাট ডিফেন্সকে কার্যত হাঁপাতে হচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জ্যাভির পাস থেকে ভিয়ার দুরন্ত গোল বার্সার কোয়ার্টার ফাইনালে যাওযা কার্যত নিশ্চিত করে দেয়। ন্যু ক্যাম্পে অ্যাওয়ে গোল পাওয়ার জন্য একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিল ইতালির দলই। ইনজুরি টাইমে জর্ডি আলভার গোলে শেষ হয় বার্সার স্বপ্নের কামব্যাক।
First Published: Wednesday, March 13, 2013, 11:18