শাসকদলের দাদাগিরি, বন্ধ মিড ডে মিল, বিপাকে ৮০০ পড়ুয়া

শাসকদলের দাদাগিরি, বন্ধ মিড ডে মিল, বিপাকে ৮০০ পড়ুয়া

শাসকদলের দাদাগিরি, বন্ধ মিড ডে মিল, বিপাকে ৮০০ পড়ুয়া শাসকদলের নেতার দাদাগিরিতে বন্ধ মিডডে মিল। বিপাকে চারটি প্রাথমিক স্কুলের ৮০০ পড়ুয়া। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার জমিতে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দখল নিয়ে প্রাইভেট স্কুল তৈরি করেছেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ পালিত। তাই সেখানকার মিডডে মিল সেন্টার তুলে দিয়েছেন তিনি। পুরসভার অভিযোগ উড়িয়ে মিডডে মিল সেন্টারের বিরুদ্ধে পাল্টা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রদীপ পালিত।

বেলঘরিয়া পল্লীমঙ্গল  প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুহাজার আট সালে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে কামারহাটি পুরসভার উদ্যোগে ওই স্কুলের দুটি ঘরে শুরু হয় ছাত্রদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মিডডে মিল সেন্টার। মহাকালী পাঠশালা, ছাত্রমঙ্গল, বেলঘরিয়া প্রাইমারী স্কুল এবং আনন্দম, এই চারটি স্কুলের মোট ৮০০ ছাত্রছাত্রীর খাবার যেত এই সেন্টার থেকে। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর আচমকাই বদলে গেছে পরিস্থিতি। অভিযোগ, মিডডে  মিল সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ পালিত। কামারহাটি পুরসভার পারিষদ সদস্য প্রিয় ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সেন্টারের বাকি ঘরগুলি দখল করে বেসরকারি স্কুল চালু করেছেন প্রদীপ পালিত। তাই সেন্টার তুলে দিতে চান তিনি।
 
শুক্রবার মিডডে মিল সেন্টারের কর্মীরা এসে দেখেন রান্নার সব জিনিস স্কুলের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রদীপ পালিতের লোকজন সেন্টারের কর্মীদের হুমকিও দেয়। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদীপ পালিত। পাল্টা মিডডে মিল সেন্টারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
 
মিডডে মিল সেন্টার নিয়ে এই চাপানউতোরের জেরে সমস্যায় পড়েছে এলাকার চারটি স্কুলের প্রায় আটশো পড়ুয়া। এতদিন তারা এই সেন্টার থেকেই মিডডে মিলের খাবার পেত। কিন্তু সোমবার থেকে মিডডে মিলের সেই খাবার মিলবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।


First Published: Saturday, July 27, 2013, 12:42


comments powered by Disqus